পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

象くがァ স্বামীজীর বাণী ও রচনা বিষ্ঠাহেতু করি প্রাণপণ, অর্ধেক করেছি আয়ুক্ষয়— প্রেমহেতু উন্মাদের মতো, প্রাণহীন ধরেছি ছায়ায় ; 鑫 ধর্ম তরে করি কত মত, গঙ্গাতার শ্মশান আলয়, নদীতীর পর্বতগহবর, ভিক্ষাশনে কত কাল যায় । অসহায়-ছিন্নবাস ধরে দ্বারে দ্বারে উদরপূরণ– . ভগ্নদেহ তপস্যার ভারে, কি ধন করিনু উপার্জন ? শোন বলি মরমের কথা, জেনেছি জীবনে সত্য সার-— তরঙ্গ-আকুল ভবঘোর, এক তরী করে পারাপার – মন্ত্র-তন্ত্র, প্রাণ-নিয়মন, মতামত, দর্শন-বিজ্ঞান, ত্যাগ-ভোগ-বুদ্ধির বিভ্রম ; প্রেম’ ‘প্রেম’—এই মাত্র ধন। জীব ব্রহ্ম, মানব ঈশ্বর, ভূত-প্রেত-আদি দেৱগণ, পশু-পক্ষী কীট-অণুকীট—এই প্রেম হৃদয়ে সবার। ‘দেব’ ‘দেব?—বলো আর কেবা ? কেবা বলে সবারে চালায় ? পুত্র তরে মায়ে দেয় প্রাণ, দস্থ হরে—প্রেমের প্রেরণ ! হয়ে বাক্য-মন-অগোচর, সুখ-দুঃখে তিনি অধিষ্ঠান, মহাশক্তি কালী মৃত্যুরূপা, মাতৃভাবে তারি আগমন । রোগ-শোক, দারিদ্র্য-যাতনা, ধর্মাধর্ম, শুভাশুভ ফল, সব ভাবে তারি উপাসনা, জীবে বলে কেবা কিবা করে ? ভ্রান্ত সেই যেবা সুখ চায়, তুঃখ চায় উন্মাদ সে জন— মৃত্যু মাঙ্গে সেও যে পাগল, অমৃতত্ব বৃথা আকিঞ্চন । যতদূর যতদূর যাও, বুদ্ধিরথে করি আরোহণ, এই সেই সংসার-জলধি, দুঃখ সুখ করে আবর্তন ।