পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ సె a স্বামীজীর বাণী ও রচনা দেড়েক ভাল ছিলাম, কিন্তু পুনরায় ১০।১২ দিন হইল জর হইয়াছিল, এক্ষণে ভাল আছি। গুটিকতক প্রশ্ন আছে, মহাশয়ের বিস্তৃত সংস্কৃতশাস্ত্রজ্ঞান— উত্তর দিয়া বাধিত করিবেন — ১ । সত্যকাম জাবালি এবং জানশ্রুতির কোন উপাখ্যান ছান্দোগ্য উপনিষদ সওয়ায় বেদের অন্য কোন অংশে আছে কি না ? ২ । শঙ্করাচার্য বেদান্তভাস্থ্যের অধিকাংশ স্থলেই স্মৃতি উদ্ধৃত করিতে গেলেই মহাভারতের প্রমাণ প্রয়োগ করেন । কিন্তু বনপর্বে অজগরোপাখ্যানে এবং উমামহেশ্বর-সংবাদে, তথা ভীষ্মপর্বে, যে গুণগত জাতিত্ব অতি স্পষ্টই প্রমাণিত, তৎসম্বন্ধে তাহার কোন পুস্তকে কোন কথা বলিয়াছেন কি না ? ৩ । পুরুষস্থক্তের জাতি পুরুষানুগত নহে—বেদের কোন কোন অংশে ইহাকে ধারাবাহিক পুরুষানুগত করা হইয়াছে ? ৪ । আচার্য, শূদ্র যে বেদ পড়িবে না’–এ প্রকার কোন প্রমাণ বেদ হইতে দিতে পারেন নাই । কেবল 'যজ্ঞেহনবককগুঃ’ ইহাই উদ্ধৃত করিয়া বলিতেছেন যে, যখন যজ্ঞে অধিকার নাই, তখন উপনিষদাদি পাঠেও অধিকার নাই। কিন্তু ‘অথাতে ব্রহ্মজিজ্ঞাসা”—এস্থলে ঐ আচার্যই বলিতেছেন যে, অথ শব্দ 'বেদাধ্যয়নাদনস্তরম্–এ প্রকার অর্থ নহে, কারণ মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ ন পড়িলে যে উপনিষদ পড়া যায় না, ইহা অপ্রামাণ্য, এবং কর্মকাণ্ডের শ্রুতি এবং জ্ঞানকাণ্ডের শ্রুতিতে কোন পূর্বাপর ভাৰ নাই । অতএব যজ্ঞাত্মক বেদ না পড়িয়াই উপনিষদপীঠে ব্ৰহ্মজ্ঞান হইতে পারে। যদি যজ্ঞে ও জ্ঞানে পৌৰ্বাপর্য না থাকিল, তবে শূদ্রের বেলা কেন ‘ন্যায়পূর্বকৰ্ম ইত্যাদি বাক্যের দ্বারা আচার্য আপনার বাক্যকে ব্যাহত করিতেছেন ? কেন শূদ্র উপনিষদ পড়িবে না ? মহাশয়কে একখানি—কোন খ্ৰীষ্টিয়ান সন্ন্যাসীর লিখিত—'[mitation o: Christ' নামক পুস্তক পাঠাইলাম । পুস্তকখানি অতি আশ্চর্য । খ্ৰীষ্টিয়ানদিগের মধ্যেও এ প্রকার ত্যাগ বৈরাগ্য ও দাস্তভক্তি ছিল দেখিয়া বিস্মিত ১ ( আরবী শব্দ )—ব্যতীত