পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজীর বাণী ও রচনা 8 צס\ ঢাকীস্থদ্ধ বিসর্জন দিয়াছে। ফল কথা এই, উত্তরের লোকেরা যে ‘অমিতাভ বুদ্ধম্" ইত্যাদি মানে, তাহ প্রজ্ঞাপারমিতা’দিতে নাই, কিন্তু দেবদেবী অনেক মানা আছে। আর দক্ষিণীরা জোর করিয়া শাস্ত্র লঙ্ঘন করিয়া দেবদেবী বিসর্জন করিয়াছে। যে everything for others ( যাহা কিছু সব পরের জন্য”—এই মত ) তিব্বতে বিস্তৃত দেখিতেছ, ঐ phase of Buddhism ( বৌদ্ধধর্মের ঐ ভাব ) আজকাল ইউরোপকে বড় strike করিয়াছে ( ইউরোপের বড় মনে লাগিয়াছে ) । যাহা হউক, ঐ phase ( ভাব ) সম্বন্ধে আমার বলিবার অনেক আছে, এ পত্রে তাহ হইবার নহে । যে ধর্ম উপনিষদে জাতিবিশেষে বদ্ধ হইয়াছিল, বুদ্ধদেব তাহারই দ্বার ভাঙিয়া সরল কথায় চলিত ভাষায় খুব ছড়াইয়াছিলেন । নির্বাণে র্তাহার মহত্ত্ব বিশেষ কি ? *śjoid to in his unrivalled sympathy (*fois, অতুলনীয় সহায়ভূতিতে ) ৷ তাহার ধর্মে যে সকল উচ্চ অঙ্গের সমাধি প্রভৃতির গুরুত্ব, তাহা প্রায় সমস্তই বেদে আছে ; নাই তাহার intellect ( বুদ্ধি ) এবং heart ( হৃদয় ), যাহা জগতে আর হইল না । বেদের যে কর্মবাদ, তাহা Jew ( য়াহুদী ) প্রভৃতি সকল ধর্মের কর্মবাদ, অর্থাৎ যজ্ঞ ইত্যাদি বাহোপকরণ দ্বারা অন্তর শুদ্ধি করা – এ পৃথিবীতে বুদ্ধদেব the first man ( প্রথম ব্যক্তি ), যিনি ইহার বিপক্ষে দণ্ডায়মান হয়েন । কিন্তু ভাব ঢং সব পুরাতনের মতো রহিল, সেই তাহার অস্তঃকৰ্মবাদ —সেই তাহার বেদের পরিবর্তে সূত্রে বিশ্বাস করিতে হুকুম । সেই জাতিও ছিল, তবে গুণগত হইল (বুদ্ধের সময় জাতিভেদ যায় নাই ), সেই যাহার র্তাহার ধর্ম মানে না, তাহাদিগকে “পাষণ্ড বলা । ‘পাষণ্ড'টা বৌদ্ধদের বড় পুরানো বোল, তবে কখনও বেচারীরা তলোয়ার চালায় নাই, এবং বড় toleration ( উদারভাব ) ছিল । তর্কের দ্বারা বেদ উড়িল, কিন্তু তোমার ধর্মের প্রমাণ ?—বিশ্বাস কর –যেমন সকল ধর্মের আছে, তাহাই। তবে সেই কালের জন্য বড় আবশ্বক ছিল এবং সেই জন্যই তিনি অবতার হন । তাহার মায়াবাদ কপিলের মতো । কিন্তু শঙ্করের how far more grand and rational (কত মহত্তর এবং অধিকতর যুক্তিপূর্ণ) ! বুদ্ধ ও কপিল কেবল বলেন–জগতে দুঃখ দুঃখ, পালাও পালাও । মুখ কি একেবারে নাই ? যেমন ব্রাহ্মরা বলেন, সব স্থখ–এও সেই প্রকার কথা। দুঃখ, তা কি করিব ?