পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> * স্বামীজীর বাণী ও রচনা এই পুস্তকের প্রথম অংশে মহাত্মা পুরুষ, আশ্রম-বিভাগ, সন্ন্যাসী, যোগ, দয়ানন্দ সরস্বতী, পওহারী বাবা, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাধাস্বামী সম্প্রদায়ের নেতা রায় শালিগ্রাম সাহেব বাহাদুর প্রভৃতির উল্লেখ করিয়া শ্রীরামকৃষ্ণজীবনীর অবতারণা করা হইয়াছে । অধ্যাপকের বড়ই ভয়, পাছে সকল ঐতিহাসিক ঘটনা সঙ্গন্ধে যে দোষ আপন হইতেই আসে—অন্তরাগ বা বিরাগাধিক্যে অতিরঞ্জিত হওয়া—সেই দেয এ-জীবনীতে প্রবেশ করে । তজ্জন্য ঘটনাবলী-সংগ্রহে তাতার বিশেষ সাবধানতা । বর্তমান লেখক শ্রীরামকৃষ্ণের ক্ষুদ্র দাস—তংসঙ্কলিত রামকৃষ্ণজীবনীর উপাদান যে অধ্যাপকের যুক্তি ও বুদ্ধি উদখলে বিশেস কুটিত হইলেও ভক্তির আগ্রহে কিঞ্চিং অতিরঞ্জিত হওয়া সম্ভব, তাহাও বলিতে ম্যাক্সমুলার ভূলেন নাই এবং ব্রাহ্ম-ধৰ্মপ্রচারক শ্রযুক্ত বাৰু প্রতাপচন্দ্র মজুমদার প্রমুখ ব্যক্তিগণ শ্রীরামকৃষ্ণের দোষোদেঘাষণ করিয়া অধ্যাপককে যাহা কিছু লিখিয়াছেন, তাহার প্রত্যুত্তরমুখে দুই-চারিটি কঠোর-মধুর কথা যাহা বলিয়াছেন, তাহাও পর্শকাতর ও ঈর্ষাপূর্ণ বাঙ্গালীর বিশেষ মনোযোগের বিষয়, সন্দেহ নাই । শ্রীরামকৃষ্ণ-কথা অতি সংক্ষেপে সরল ভাষায় পুস্তকমধ্যে অবস্থিত । এ জীবনীতে সভয় ঐতিহাসিকের প্রত্যেক কথাটি যেন ওজন করিয়া লেখা— ‘প্রকৃত মহাত্মা’ নামক প্রবন্ধে যে অগ্নিস্ফূলিঙ্গ মধ্যে মধ্যে দেখা যায়, এবার তাহা অতি যত্নে আবরিত । একদিকে মিশনরী, অন্যদিকে ব্রাহ্ম-কোলাহল— এ উভয় আপদের মধ্য দিয়া অধ্যাপকের নৌকা চলিয়াছে। ‘প্রকৃত মহাত্মা’ উভয় পক্ষ হইতে বহু ভংসনা, বহু কঠোর বাণী অধ্যাপকের উপর আনে ; আনন্দের বিষয়—তাহার প্রত্যুত্তরের চেষ্টাও নাই, ইতরতা নাই, আর গালাগালি সভ্য ইংলণ্ডের ভদ্রলেখক কখনও করেন না ; কিন্তু বর্ষীয়ান মহাপণ্ডিতের উপযুক্ত ধীর-গম্ভীর, বিদ্বেষ-শূন্য অথচ বজবং দৃঢ় স্বরে মহাপুরুষের অলৌকিক হৃদয়োখিত অমানব ভাবের উপর যে আক্ষেপ হইয়াছিল, তাহ অপসারিত করিয়াছেন । অাক্ষেপগুলিও আমাদের বিস্ময়কর বটে। ব্রাহ্ম-সমাজের গুরু স্বগীয় আচার্য শ্ৰীকেশবচন্দ্রের শ্রমুখ হইতে আমরা শুনিয়াছি যে, শ্রীরামকৃষ্ণের সরল মধুর গ্রাম্য ভাষা অতি অলৌকিক পবিত্রত বিশিষ্ট ; আমরা যাহাকে অশ্লীল