পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*○>b- স্বামীজীর বাণী ও রচনা একটি ছোট্ট বাগানে একটি স্বন্দর বাংলা-ঘর আছে ; ঐ ঘরে থাকিব এবং উক্ত বাগান বাবাজীর কুটীরের অতি নিকট। বাবাজীর একজন দাদা ঐখানে সাধুদের সৎকারের জন্য থাকে, সেই স্থানেই ভিক্ষা করিব। এতএব এ রঙ্গ কতদূর গড়ায়, দেখিবার জন্য এক্ষণে পর্বতারোহণ-সংকল্প ত্যাগ করিলাম। এবং কোমরে দুমাস ধরিয়া একটা বেদনা—বাত (lumbago )—হইয়াছে, তাহাতেও পাহাড়ে উঠা এক্ষণে অসম্ভব । অতএব বাবাজী কি দেন, পড়িয়া পড়িয়া দেখা যাউক । আমার motto (মূলমন্ত্র ) এই যে, যেখানে যাহা কিছু উত্তম পাই, তাহাই শিক্ষা করিব । ইহাতে বরাহনগরের অনেকে মনে করে যে, গুরুভক্তির লাঘব হইবে । আমি ঐ কথা পাগল এবং গোড়ার কথা বলিয়া মনে করি। কারণ, সকল গুরুই এক এবং জগদগুরুর অংশ ও আভাসস্বরূপ । তুমি যদি গাজীপুরে আইস, গোরাবাজারের সতীশবাবু অথবা গগনবাবুর নিকট আসিলেই আমার সন্ধান পাইবে । অথবা পওহারী বাবা এত প্রসিদ্ধ ব্যক্তি যে, ইহার নামমাত্রেই সকলে বলিবে, এবং তাহার আশ্রমে যাইয়া পরমহংসজীর খোজ করিলেই সকলে বলিয়া দিবে। মোগলসরাই ছাড়াইয়া দিলদারনগর স্টেশনে নামিয়া Branch Railway (শাখা রেল ) একটু আছে ; তাহাতে তারিঘাট—গাজীপুরের আড়পারে নামিয়া গঙ্গা পার হইয়া আসিতে হয় । এক্ষণে আমি গাজীপুরে কিছুদিন রহিলাম ; দেখি বাৰাজী কি করেন। তুমি যদি আইস, দুইজনে উক্ত কুটীরে কিছুদিন থাকিয়া পরে পাহাড়ে ব৷ যেথায় হয়, যাওয়া যাইবে । আমি গাজীপুরে আছি, একথা বরাহনগরে কাহাকেও লিখিও না । আমার আশীৰ্বাদ জানিবে । t সতত মঙ্গলাকাজক্ষী নরেন্দ্র