পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ङ्कांदलौ . * 8งจ গ্রন্থনক্ষত্রাদি সম্বন্ধে কিংবা বিভিন্ন জাতি বা বিভিন্ন দেশের ইতিহাস সম্বন্ধে ছবি দেখাইয়া কিছু শিক্ষা দিল । এইরূপে গ্লোব, মানচিত্র প্রভৃতির সাহাষ্যে মুখে মুখে কত জিনিসই না শেখানে যাইতে পারে দেওয়ানজী ! চক্ষুই যে জ্ঞানলাভের একমাত্র দ্বার তাহা নহে, পরস্তু কর্ণদ্বারাও শিক্ষার কার্য যথেষ্ট হইতে পারে। এইরূপে তাহারা নূতন চিন্তার সহিত পরিচিত হইতে পারে, নৈতিক শিক্ষা লাভ করিতে পারে এবং ভবিষ্যৎ অপেক্ষাকৃত ভাল হইবে বলিয়া আশা করিতে পারে। ঐটুকু পর্যস্ত আমাদের কর্তব্য—বাকীটুকু উহার নিজেরাই করিবে । এক্ষণে প্রশ্ন হইতে পারে যে, সন্ন্যাসিগণ কিসের জন্য এ-জাতীয় ত্যাগব্ৰত গ্রহণ করিবে এবং কেনই বা এ প্রকারের কাজ করিতে অগ্রসর হইবে ? উত্তরে আমি বলিব—ধর্মের প্রেরণায় ! প্রত্যেক নূতন ধর্ম-তরঙ্গেরই একটি নূতন কেন্দ্র প্রয়োজন । প্রাচীন ধর্ম শুধু নূতন কেন্দ্র-সহায়েই নৃতনভাবে সঞ্জীবিত হইতে পারে । গোড়া মতবাদ সব গোল্লায় যাউক—উহাদের দ্বারা কোন কাজই হয় না । একটি খাটি চরিত্র, একটি সত্যিকার জীবন, একটি শক্তির কেন্দ্ৰ—একজন দেবমানবই পথ দেখাইবেন । এই কেন্দ্রেই বিভিন্ন উপাদান একত্র হইবে এবং প্রচণ্ড তরঙ্গের মতে সমাজের উপর পতিত হইয়া সব কিছু ভাসাইয়া লইয়া যাইবে, সমস্ত অপবিত্রতা মুছিয়া দিবে। আবার দেখুন, একটি কাষ্ঠথগুকে উহার আঁশের অমুকুলেই যেমন সহজে চিরিয়া ফেলা যায়, তেমনি হিন্দুধর্মের দ্বারাই প্রাচীন হিন্দুধর্মের সংস্কার করিতে হইবে, নব্য সংস্কার-আন্দোলন দ্বারা নহে। আর সেই সঙ্গে সঙ্গে সংস্কারকগণকে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য উভয়দেশের সংস্কৃতিধারা নিজ জীবনে মিলিত করিতে হইবে। সেই মহা আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র প্রত্যক্ষ করিতেছেন বলিয়া মনে হয় কি ? ঐ তরঙ্গের আগমনস্থচক মৃদু গম্ভীর ধ্বনি শুনিতে পাইতেছেন কি ? সেই , শক্তিকেন্দ্ৰ—সেই পথপ্রদর্শক দেবমানব ভারতবর্ষেই জন্মিয়াছিলেন । তিনি সেই মহান শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস এবং তাঁহাকেই কেন্দ্র করিয়া এই যুবকাল ধীরে ধীরে সঙ্ঘবদ্ধ হইয়া উঠিতেছে। তাহারাই এ মহাব্ৰত উদ্‌যাপন করিবে । - এ কার্যের জন্য সঙ্ষের প্রয়োজন এবং অন্ততঃ প্রথম দিকটায় সামান্ত কিছু অর্থেরও প্রয়োজন । কিন্তু ভারতবর্ষে কে আমাদিগকে অর্থ দিবে ?.s