পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

98br স্বামীজীর বাণী ও রচনা জন্য এদেশের অনেকে মনে করছে, আমি একটা জুয়াচোর । একে তে। মিশনীরা আমার পিছু লেগেছে, তার উপর এখানকার হিন্দুরা হিংসা করে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ; এক্ষেত্রে আমার একটা কথাও জবাব দেবার নেই। এখন মনে হচ্ছে, কেবল মান্দ্রাজের কতকগুলি ছোকরার পীড়াপীড়ির জন্য ধর্মমহাসভায় যাওয়া আমার আহাম্মকি হয়েছিল, কারণ তারা তো ছোকরা বই আর কিছুই নয় । অবশ্য আমি অনস্ত কালের জন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞ, কিন্তু তারা তো গুটিকতক উৎসাহী যুবক ছাড়া আর কিছু নয় – কাজের ক্ষমতা তাদের ষে একদম নেই । আমি কোন নিদর্শনপত্র নিয়ে আসিনি, আর যখন কারও অর্থসাহায্যের আবশ্বক হয়, তার নিদর্শনপত্র থাকা দরকার, তা না হ’লে মিশনরী ও ব্রাহ্মসমাজের বিরুদ্ধাচরণের সামনে— আমি যে জুয়াচোর নই, তা কি ক’রে প্রমাণ ক’রব ? মনে করেছিলাম, গোটাকতক বাক্য ব্যয় করা ভারতের পক্ষে বিশেষ কঠিন কাজ হবে না । মনে করেছিলাম, মান্দ্রীজে ও কলকাতায় কয়েকজন ভদ্রলোক জড়ো ক’রে এক একট। সভা ক’রে আমাকে এবং আমেরিকাবাসিগণকে আমার প্রতি সহৃদয় ব্যবহার করবার জন্য ধন্যবাদ সহ প্রস্তাব পাস করিয়ে, সেই প্রস্তাবটা দস্তুরমত নিয়মাকুযায়ী অর্থাং সেই সেই সভার সেক্রেটারীকে দিয়ে, আমেরিকায় ডাঃ ব্যারেজের কাছে পাঠিয়ে তাকে তথাকার বিভিন্ন কাগজে ছাপাতে অকুরোধ করা । ঐৰূপ বস্টন, নিউ ইয়র্ক ও চিকাগোর বিভিন্ন কাগজে পাঠানো বিশেষ কঠিন কাজ হবে না। এখন দেখছি, ভারতের পক্ষে এই কাজটা বড়ই গুরুতর ও কঠিন, এক বছরের ভেতর ভারত থেকে কেউ আমার জন্য একট। টু শব্দ পর্যন্ত করলে না, আর এখানে সকলেই আমার বিপক্ষে । তোমরা নিজেদের ঘরে বসে আমার সম্বন্ধে যা খুশি বলে না কেন, এখানে তার কে কি জানে ? হুমাসেরও উপর হ’ল অালাসিঙ্গীকে আমি এ বিষয়ে লিখেছিলাম, কিন্তু সে অামার পত্রের জবাব পর্যন্ত দিলে না । আমার আশঙ্কা হয়, তার উৎসাহ ঠাণ্ড হয়ে গেছে । সুতরাং তোমায় বলছি, আগে এ বিষয়টি বিবেচনা ক’রে দেখ, তার পর মান্দ্রাঙ্গীদের এই চিঠি দেখিও } এদিকে আমার গুরুভাইরা ছেলেমানুষের মতো কেশব সেন সম্বন্ধে অনেক বাজে কথা বলছে, আর মান্দ্রাজীরা থিওসফিস্টদের সম্বন্ধে আমি চিঠিতে যা কিছু লিখছি, তাই তাদের বলছে—এতে শুধু শত্রুর স্বাক্ট করা হচ্ছে । হায় ! iu::ఫీ.