পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

登●br স্বামীজীর বাণী ও রচনা নীতি শিক্ষা লাভ করিতে পারে। আর হিন্দুজাতি যে একজন সন্ন্যাসীকে প্রতিনিধিরূপে এদেশে প্রেরণ করিয়াছিল, তাহার সার্থকতা উহাতেই যথেষ্টরূপে সাধিত হইয়াছে বলিয়া কি আপনার মনে হয় না ? বিস্তারিত বিবরণ বীরচাঁদ গান্ধীর নিকট অবগত হইবেন । কয়েকটি পত্রিকা হইতে অংশবিশেষ আমি নিম্নে উদ্ধৃত করিতেছি : সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার অনেকগুলিই বিশেষ বাগিতাপূর্ণ হইয়াছিল 'সত্য, কিন্তু হিন্দু সন্ন্যাসী ধর্মমহাসভার মূল নীতি ও উহার সীমাবদ্ধতা যেরূপ স্বন্দরভাবে ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন, অন্য কেহই তাহা করিতে পারে নাই। র্তাহার বক্তৃতায় সবটুকু আমি উদ্ধৃত করিতেছি এবং শ্রোতৃবৃন্দের উপর উহার প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে শুধু এইটুকু বলিতে পারি যে, দৈবশক্তিসম্পন্ন বক্তা তিনি এবং তাহার অকপট উক্তিসমূহ ষে মধুর ভাষার মধ্য দিয়া তিনি প্রকাশ করেন, তাহ তদীয় গৈরিক বসন এবং বুদ্ধিদীপ্ত দৃঢ় মুখমণ্ডল অপেক্ষা কম আকর্ষণীয় নয়।’ —( নিউইয়র্ক ক্রিটিক ) ঐ পৃষ্ঠাতেই পুনর্বার লিখিত আছে : তাহার শিক্ষ, বাগ্মিতা এবং মনোমুগ্ধকর ব্যক্তিত্ব আমাদের সম্মুখে হিন্দু সভ্যতার এক নূতন ধারা উন্মুক্ত করিয়াছে। তাহার প্রতিভাদীপ্ত মুখমণ্ডল, গম্ভীর ও স্বললিত কণ্ঠস্বর স্বতই মানুষকে তাহার দিকে আকৃষ্ট করে এবং ঐ বিধিদত্ত সম্পদসহায়ে এদেশের বহু ক্লাব ও গির্জায় প্রচারের ফলে আজ আমরা তাহার মতবাদের সহিত পরিচিত হইয়াছি। কোন প্রকার নোট প্রস্তুত করিয়া তিনি বকৃত করেন না। কিন্তু নিজ বক্তব্য বিষয়গুলি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করিয়া অপূর্ব কৌশল ও ঐকাস্তিকতা সহকারে তিনি মীমাংসায় উপনীত হন এবং অস্তরের গভীর প্রেরণার্তাহার বাগিতাকে অপূর্বভাবে সার্থক •করিয়া তোলে |’ ‘ধর্মমহাসভায় বিবেকানন্দই অবিসংবাদিরূপে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি। তাহার বস্তৃতা শুনিয়া আমরা বুঝিতেছি যে, এই শিক্ষিত জাতির মধ্যে ধর্মপ্রচারক প্রেরণ করা কত নিৰ্বদ্ধিতার কাজ।”—(হেরাল্ড, এখানকার শ্রেষ্ঠ কাগজ ) আর অধিক উদ্ধৃত করিলাম না, পাছে আমায় দাম্ভিক বলিয়া মনে করেন। কিন্তু আপনাদের বর্তমান অবস্থা প্রায় কুপমণ্ডুকের মতে হইয়াছে বলিয়া এবং