পরিব্রাজক بي وخا তখন এক বুদ্ধি ঠাওরালুম, বললুম—ম দেখ, ঐ যে পাগড়ি মাথায় জামাগায়ে চাকরগুলি জাহাজে এদিক ওদিক করছে, ওরা হচ্চে নেড়ে—আসল গরুথেকে নেড়ে, আর ঐ যারা ঘরদেণর সাফ ক’রে ফিরছে, ওরা হচ্চে আসল মেঃ , লালবেগের চেলা । যদি কথা না শোনো তে ওদের ডেকে তোমায় ছুইয়ে দিইছি আর কি ! তাতেও যদি না শান্ত হও, তোমায় এক্ষুনি বাপের বাড়ী পাঠাব ; ঐ যে ঘরটি দেখছ, ওর মধ্যে বন্ধ করে দিলেই তুমি বাপের বাড়ীর দশ পাবে, আর তোমার ডাক ইণক সব যাবে,জমে একখানি পাথর হয়ে থাকতে হবে। তখন বেটী শাস্ত হয়। বলি, শুধু দেবতা কেন, মানুষেরও ঐ দশা— ভক্ত পেলেই ঘাড়ে চড়ে বসেন । কি বর্ণনা করতে কি বকছি আবার দেখ! আগেই তো ব’লে রেখেছি, আমার পক্ষে ওসব এক রকম অসম্ভব, তবে যদি সহ কর তো আবার চেষ্টা করতে পারি । আপনার লোকের একটি রূপ থাকে, তেমন আর কোথাও দেখা যায় ন। নিজের খ্যাদা রোচা ভাই বোন ছেলেমেয়ের চেয়ে গন্ধৰ্বলোকেও সুন্দর পাওয়া যাবে না সত্য । কিন্তু গন্ধৰ্বলোক বেড়িয়েও যদি আপনার লোককে যথার্থ সুন্দর পাওয়া যায়, সে আহলাদ রাখবার কি আর জায়গা থাকে ? এই অনন্তশষ্পশ্যামলা সহস্রস্রোতস্বতীমাল্যধারিণী বাঙলা দেশের একটি রূপ আছে , সে রূপ—কিছু আছে মলয়ালমে (মালাবার), আর কিছু কাশ্মীরে। জলে কি আর রূপ নাই ? জলে জলময় মুষলধারে বৃষ্টি কচুর পাতার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্চে, রাশি রাশি তাল-নারিকেল-খেজুরের মাথা একটু অবনত হয়ে সে ধারাসম্পাত সুইছে, চারিদিকে ভেকের ঘর্ঘর আওয়াজ,-- এতে কি রূপ নাই ? অার আমাদের গঙ্গার কিনার-বিদেশ থেকে না এলে, ডায়মও হারবারের মুখ দিয়ে না গঙ্গায় প্রবেশ করলে সে বোঝা যায় না। সে নীল নীল আকাশ, তার কোলে কালো মেষ, তার কোলে সাদাটে মেঘ, সোনালী কিনারাদার, তার নীচে ঝোপ ঝোপ তাল-নারিকেল-খেজুরের মাথা বাতাসে ১ ঐতিহাসিক ইলিয়টের মতে লালবেীদের (ঝাড়ুদার মেথর সম্প্রদায়বিশেষ ) উপাত্ত আদিপুরুষ বা কুলদেবতা,লালবেগ ও উত্তরপশ্চিমের লালগুর (স্বাক্ষস অরণ্য কিরাত) অভিন্ন। BBBBBB BBBBB BB DD DDDDS BBB BB BBB BB DDSHBBDDS
