পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়াছেন এবং উভয় সভ্যতার দোষগুলি ছাড়িয়া গুণগুলি সংগ্ৰহ করিবার জন্য দেশবাসীকে আহবান করিয়াছেন । 劍 ‘বর্তমান ভারত মানবজাতির উত্থান-পতনের একটি সুচিস্তিত সমাজতাত্বিক ইতিহাস । ইহাতে স্বামীজী দেখাইয়াছেন ষে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু ও শূদ্র-শক্তি পর্যায়ক্রমে জগতে আধিপত্য বিস্তার করে। ব্রাহ্মণ ও ক্ষুত্রিয়ের যুগ চলিয়া গিয়াছে, বৈশ্বশক্তি অধুনা জগতে আধিপত্য করিতেছে ; কিন্তু এমন দিন শীঘ্রই আসিতেছে, যখন শূদ্রত্বের সহিত শূদ্রের প্রাধান্ত হইবে, অর্থাং বৈশ্বত্ব ক্ষত্ৰিয়ত্ব লাভ করিয়া শূদ্ৰজাতি যে প্রকার বলবীৰ্য বিকাশ করিতেছে, তাহা নহে। শূদ্রধর্মকর্মের সহিত সর্বদেশের শূদ্রের সমাজে একাধিপত্য লাভ করিবে, তাহারই পূর্বাভাসচ্ছটা পাশ্চাত্য জগতে ধীরে ধীরে উদিত হইতেছে...। পঞ্চাশ বৎসরেরও অধিককাল পূর্বে স্বামীজী যে ভবিষ্যদ্বাণী করিয়া গিয়াছেন, বর্তমানে তাহারই সূচনা দেখা যাইতেছে । ঐ পুস্তক-প্রণয়নকালে ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রবল ছিল । বিদেশী পাশ্চাত্য বৈশ্ব-শাসনের গুণদোষ বিচার করিয়া স্বামীজী দেখাইয়াছেন যে, ইহার ংস্পর্শে আসিয়া দীর্ঘক্ষপ্ত ভারত ধীরে ধীরে বিনিদ্র হইতেছে। আধুনিক পাশ্চাত্যের অর্থকরী বিদ্যা, ব্যক্তিগত স্বাধীনত ও রাষ্ট্রনীতি প্রভৃতির অাদর্শ ধীরে ধীরে ভারতীয় মনে প্রবেশ করিতেছে। ইহাতে কিছু বিপদের আশঙ্কাও দেখা দিয়াছে। আপন আদর্শ ভুলিয়া আমরা বিদেশের আদর্শকেই সর্বাস্ত;করণে গ্রহণ করিতে উদ্যত। তাই স্বামীজী তাহার দৃপ্ত ভাষায় আমাদিগকে সাবধান করিয়া দিয়াছেন । স্বামীজীর রচিত সংস্কৃত স্তোত্র, বাংলা কবিতাগুলি এবং কয়েকটি ইংরেজী কবিতা অনেকদিন হইতে ‘বীরবাণী’ নামক ক্ষুদ্র পুস্তকে কলিঙ্কাত বিবেকানন্দ 'সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত হইতেছে। সেই সংগ্ৰহ হইতে সংস্কৃত স্তোত্র ও বাংলা কবিতাগুলি বর্তমান খণ্ডে গৃহীত হইল ; ইংরেজী কবিতার অনুবাদ পরবর্তী খণ্ডে প্রকাশিত হইতেছে। স্বামীজীর কবিতা তাহার অস্তরের গভীর ভাবপ্রস্থত ; এগুলি শুধু ছন্দোবদ্ধ পদ নহে। - স্বামীজীর অগ্নিগর্ড পত্রাবলী সমগ্র জগৎকে উদ্বুদ্ধ করিবার জন্যই লিখিত হুইয়াছিল। অমোঘ শক্তি-সঞ্চারক পত্রগুলি—বিশেষভাবে আত্মবিশ্বত ভারতের পক্ষে অশেষ কল্যাণপ্রদ ও যুগোপৰোগী। পত্রাবলীতে উল্লিখিত