পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিব্রাজক b+\ළු হয়ে গেছে। এই সকল স্থানেই পোতুগিজ বম্বেটেদের আড্ডা হয়েছিল ; আরাকান-রাজের এই সকল স্থান অধিকারের বহু চেষ্টা, মোগল প্রতিনিধির গঞ্জালেজ প্রমূখ পোতুগিজ বম্বেটেদের শাসিত করবার নানা উদ্যোগ ; বারংবার ক্রিশচান, মোগল, মগ, বাঙালীর যুদ্ধ । দক্ষিণী সভ্যতা একে বঙ্গোপসাগর স্বভাবচঞ্চল, তাতে আবার এই বর্ষাকালে, মৌসুমের সময়, জাহাজ খুব হেলতে দুলতে যাচ্চেন। তবে এইতো আরম্ভ, পরে বা কি আছে ! যাচ্চি মান্দ্রাজ। এই দাক্ষিণাত্যের বেশী ভাগই এখন মান্দ্ৰাজ । জমিতে কি হয় . ভাগ্যবানের হাতে পড়ে মরুভূমিও স্বর্গ হয়। নগণ্য ক্ষুদ্র মান্দ্রাজ শহর যার নাম চিন্নাপট্টনম্, অথবা মান্দ্রাসপট্টনম, চন্দ্রগিরির রাজা একদল বণিককে বেচেছিল । তখন ইংরেজের ব্যবসা জাভায় । বাস্তাম শহর ইংরেজদিগের আশিয়ার বাণিজ্যের কেন্দ্র । মান্দ্রাজ প্রভৃতি ইংরেজী কোম্পানির ভারতবর্ষের সব বাণিজ্যস্থান বাস্তামের দ্বারা পরিচালিত । সে বাস্তাম কোথায়? আর সে মান্দ্রাজ কি হয়ে দাঁড়াল! শুধু উদ্যোগিনং পুরুষসিংহমুপৈতি লক্ষ্মীঃ নয় হে ভায় ; পেছনে মায়ের বল। তবে উদ্যোগী পুরুষকেই মা বল দেন—এ কথাও মানি । মান্দ্রাজ মনে পড়লে খাটি দক্ষিণদেশ মনে পড়ে। যদিও কলকেতার জগন্নাথের ঘাটেই দক্ষিণ-দেশের আমেজ পাওয়া যায় ( সেই থর-কামানো মাথা, ঝুটি বাধা, কপালে অনেক চিত্র বিচিত্র, শুড়-ওলটানো চটিজুতো, যাতে কেবল পায়ের আঙুল-কটি ঢোকে, আর নন্তদরবিগলিত নয়, ছেলে-পুলের সর্বাঙ্গে চন্দনের ছাপা লাগাতে মজবুত ) উড়ে বামুন দেখে । গুজরাতি বামুন, কালো কুচকুচে দেশস্থ বামুন, ধপধপে ফরসা বেরালচোখে চৌকা মাথা কোকনস্থ বামুন, সব ঐ এক প্রকার বেশ, সব দক্ষিণী ব’লে পরিচিত—অনেক দেখেছি, কিন্তু ঠিক দক্ষিণী ঢঙ মান্দ্রাজীতে। সে রামানুজী তিলক-পরিব্যাপ্ত ললাটমণ্ডল—দূর থেকে যেন ক্ষেত চৌকি দেবার জন্য কেলে হাড়িতে চুন মাখিয়ে পোড়া কাঠের ডগায় বসিয়েছে, যে-তিলকের শাগরেদ রামানন্দী তিলকের মহিমা সম্বন্ধে লোকে বলে, "তিলক তিলক সব কোই কহে, পর রামানন্দী তিলক দিখত গঙ্গা-পারসে যম গৌদ্বারকে খিড়ক্ ? ' ( আমাদের দেশে চৈতন্যসম্প্রদায়ের সর্বাঙ্গে ছাপ দেওয়া