পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলেজে ܘܚܝܬ؟,.. .. ဍ ဍ၊ বাল্যকাল হইতেই তিনি ঘোড়া ভালবাসিতেন। তঁহার আত্মীয়ের, একটা সাদা “পনি” ঘোড়া তাহার তত্ত্বাবধানে ছিল। প্ৰত্যহ সন্ধ্যার সময় ঐ ঘোড়ায় চড়িয়া বেড়াইতে যাওয়া তাহার একটা প্ৰধান সখ ছিল। তিনি যে জিমন্যাষ্টিকের আখড়ায় ব্যায়াম অভ্যাস করিতেন। সেখানে লাঠিও খেলা হইত। লাঠির প্রতি বাল্যকাল হইতেই তাহার আসক্তি ছিল । কতকগুলি মুসলমানের সহিত র্তাহার আলাপ ছিল, তাহাদের নিকটই লাঠিখেলা শিক্ষা হয়। কত অল্প বয়সে তিনি লাঠিখেলায় নৈপুণ্যলাভ করিয়াছিলেন নিম্নলিখিত ঘটনা হহঁতে পাঠক তাহার পরিচয় পাইবেন । তখন তঁহার বয়স দশ বৎসর । মেট্ৰপলিটান স্কুলে পড়েন। একটা মেলা: উপলক্ষে জিমন্যাষ্টিকের খেলা দেখান হইবার কথা ছিল। তিনিও দর্শকরূপে সেখানে নিমন্ত্রিত হইয়াছিলেন । অন্যান্য খেলা শেষ হইলে লাঠি খেল আরম্ভ হইল এবং ক্রমশঃ খেলার উৎসাহ কমিয়া আসিল, এমন সময়ে সহসা নরেন্দ্র উঠিয়া দাড়াইলেন এবং ঘোষণা করিলেনতাহাদের মধ্যে যে কেহ তঁহার সহিত প্ৰতিযোগিতা প্ৰদৰ্শনে সম্মত, তিনি তাহারই সহিত খেলিতে প্ৰস্তুত। দলের মধ্যে যে সৰ্ব্বাপেক্ষা বলবান সেই তাহার সম্মুখীন হইল। তারপর ঘোর শব্দে লাঠিযুদ্ধ চলিল । দর্শকেরা ক্রীড়ার ফল দেখিবার জন্য বিষম ব্যগ্ৰ হইয়া উঠিলেন, কারণ নরেন্দ্র অপেক্ষা নরেন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বীর বয়স ও শারীরিক শক্তি দুইই অধিক ছিল। কিন্তু মুসলমান ওস্তাদদের শিক্ষণগুণে নরেন্দ্ৰ লাঠি-চালনায় এমনি পরিপাক হইয়াছিলেন যে, প্রতিদ্বন্দ্বীর শক্তি সামৰ্থ্যকে কিছুমাত্র গ্রাহ' , না করিয়া পয়তাড়া কসিতে কাঁসিতে হঠাৎ কৌশলে তাহাকে এরূপ প্ৰচণ্ড আঘাত করিলেন যে, তাহার হস্তস্থিত ব্যষ্টিখণ্ড দ্বিখণ্ডিত হইয়া ঝন ঝন শব্দে মাটিতে পড়িয়া গ্রেগুপ্ত তদর্শনে দর্শকবৃন্দের বিস্ময় ও আনন্দের সীমা রহিল