পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অকুল চিন্তাসাগরে আশ্রয়। প্ৰথম প্ৰথম ব্ৰাহ্মসমাজে মিশিয়া নরেন্দ্ৰ কতকটা শান্তি অনুভব করিলেন। তঁহার মনে সৰ্ব্বদাই কেশববাবুর ন্যার প্রচারক হইবার বলবতী বাসনা উদিত হইত। সে সময়ে ব্ৰাহ্মসমাজের মধ্যে অনেক চরিত্রবান ব্যক্তি ছিলেন। তঁহাদের সহিত আলাপ পরিচয় করিয়াও তিনি বেশ গ্ৰীতি লাভ করিতেন । দিন কতকের জন্য মনটা যেন শান্ত হইল, কিন্তু তাহার পর আবার পূৰ্ব্ববৎ অশান্তি আরম্ভ হইল। কেবলই ভাবিতে লাগিলেন-কৈ, ঈশ্বরের দর্শনলাভ হইল কৈ ? ব্রাহ্মসমাজে যখন তিনি গান গাহিতেন তখন ক্ষণিকের জন্য প্ৰাণে ভগবৎরসের আস্বাদ পাইতেন, কিন্তু সেও ক্ষণিক । সুতরাং তিনি আবার একান্তচিত্তে আলোকের জন্য প্রার্থনা করিতে লাগিলেন। প্রাণের উৎকণ্ঠায় তিনি একদিন মহর্ষি, দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিকট উপস্থিত হইলেন। মহর্ষি তখনকার শিক্ষিত লোকদিগের নিকট একজন উচ্চশ্রেণীর ধৰ্ম্মশিক্ষক বলিয়া পরিচিত ছিলেন। অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিকারী হইয়াও তিনি শান্তি ও সত্যকামনায় কতকটা ত্যাগীর ন্যায় জীবন যাপন করিতেছিলেন এবং সর্দাঁসৰ্ব্বদা প্রায় করিতেন। তিনিই মহাত্মা কেশবচন্দ্র সেনকে ধৰ্ম্মপথে আকৃষ্ট করিয়া তাহার অন্তর্নিহিত ক্ষমতার বহির্বিকাশ সাধন করেন। সুতরাং নরেন্দ্ৰ মনে করিলেন তাহার নিকট যাইলেই উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইবে। মহৰ্ষি তাহার মনোভাব অবগত হইয়া গভীর ধ্যানে নিবিষ্ট হইবার চেষ্টা করিতে উপদেশ দিলেন। শীঘ্রই একটি ক্ষুদ্র দল সংগঠিত - হইল, সেখানে মহর্ষি প্রত্যহ কিয়ৎক্ষণের জন্য ধ্যানাভ্যাস প্রণালী । শিক্ষা দিতে লাগিলেন। ধ্যানান্তে কে কেমন উপলব্ধি করিতেছে ?