পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিতৃবিয়োগ ও সাংসারিক কষ্ট। ইতিমধ্যে ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দের প্রথমভাগে নরেন্দ্ৰনাথের জীবনে এক বিষম পরিবর্তন আরম্ভ হইয়াছিল। এই সময় তাহার পিতা বিশ্বনাথৰাবু পরলোক গমন করেন। তখন নরেন্দ্রের বয়স ফুড়ি বৎসর মাত্র। সবে বি, এ, পরীক্ষা দিয়াছেন। পরীক্ষার দিনকতক পুরে একদিন তিনি বরাহনগরের বন্ধুদিগের সহিত দেখা করিতে গিয়াছেন। রাত্রি প্ৰায় এগারটা পৰ্য্যন্ত গান বাজনা করিয়া আহারাদির পর সকলে এক গৃহে শয়ন করিয়া কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছিলেন, এমন সময়ে একজন দৌড়াইতে দৌড়াইতে আসিয়া সংবাদ দিল যে, হৃদরোগে বিশ্বনাথবাবুর মৃত্যু হইয়াছে। এই নিদারুণ সংবাদে নরেন্দ্র অধীর হইয়া তৎক্ষণাৎ গৃহে প্রত্যাগমন করিলেন ও শোকাকাতর হৃদয়ে "যথাবিধি – পিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া নিষ্পন্ন করিলেন। . . . . তারপর বড় কষ্ট আরম্ভ হইল। অনেক অর্থ উপাৰ্জন করিলেও মুক্তহস্ত বিশ্বনাথবাবু বড় কিছু রাখিয়া যাইতে পারেন নাই, বরং কিঞ্চিৎ ঋণ রাখিয়া গিয়াছিলেন। সুতরাং তঁাহার মৃত্যুর পর সংসার চলা দুষ্কর হইয়া উঠিল। শোকাতুর নরেন্দ্রনাথ ভগ্নহৃদয়া জননীকে অনেক সাত্মনা দিলেন ও বলিলেন সব ঠিক হইয়া । যাইবে। মাতা দুঃখের মধ্যে পুত্রের হৃদয়ের বল দেখিয়া অনেকটা আশ্বস্ত হইলেন। কয়েক সপ্তাহ একরূপে কাটিয়া গেল, কিন্তু তারপর প্রকৃতই অন্নকষ্ট আরস্তু? হইল। নরেন্দ্র তখন বি, ধলা, পড়িতেছিলেন । , অর্থাভাবে ষ্ট্র 熙 * দরিদ্রের বেশে কলেজে যাইতেন। দূর দূরান্তরে যাইতে । হইলেও, কখন পদব্ৰজে ব্যতীত গাড়ীতে যাইতেন না। যে সকল গাড়োয়ানেরা