পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিতৃবিয়োগ ও সাংসারিক কষ্ট òdid পরমহংসদেব তাহাকে স্বয়ং মার কাছে গিয়া প্রার্থনা করিতে উপদেশ দিলেন । নরেন্দ্ৰ প্ৰথমে সম্মত হইলেন না। কারণ দেবদেবীতে তাহার বিশেষ আস্থা ছিল না, কিন্তু পরে পরমহংসদেবের পুনঃ পুনঃ আদেশে ৬/ভবতারিণী দেবীর মন্দির মধ্যে প্ৰবেশ করিলেন । দেখিলেন। যাহাকে তিনি এতদিন পাষাণময়ী বলিয়া ভাবিতেন। তিনি পাষাণময়ী ... নহেন, সত্যই চৈতন্যরূপিনী, অনন্ত স্নেহময়ী, বরাভয়দাত্রী জগজ্জননী । তিনি দেবীর পদপদ্মে সাষ্টাঙ্গ প্ৰণত হইয়া বিবেক-বৈরাগ্য ও জ্ঞানভক্তি প্রার্থনা করিলেন, টাকা পয়সার কথা মনে রহিল না। মাকে দর্শন করিয়া পরমহংসদেবের নিকট ফিরিয়া আসিলে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন ‘কিরে, মাকে বলিয়াছিন্স ত ?” তখন তঁাহার চমক ভাঙ্গিল, বলিলেন, “না মহাশয়, সে-কথা বলিতে ভুলিয়া গিয়াছি।’ পরমহংসদেব পুনরায় তঁাহাকে কালীঘরে পাঠাইলেন, কিন্তু সেবারও ঐ প্রকার হইল ; এইরূপে নরেন্দ্ৰ সংসারিক অভাব জানাইবার জন্য তিন তিনবার দেবীর মন্দিরে প্রবেশ করিলেন, কিন্তু তিনবারই ধনুরত্ব প্রার্থনার পরিবর্তে বিবেক বৈরাগ্য ও জ্ঞান ভক্তি প্রার্থনা করিলেন। শেষে ~ পুনরায় পরমহংসদেবকে ধরিয়া বসিলেন। শ্ৰীরামকৃষ্ণদেব তাহাতে বলিয়াছিলেন ‘যাঃ, মার ইচ্ছায় আজ থেকে আর তোদের মোটা ভাত কাপড়ের কখন অভাব হবে না।” ܗܝ বিশ্বনাথৰাবু ইতিপূর্বে এক ধনাঢ্য ব্যক্তির ( ব্যারিষ্টার আর, মিত্রের) কন্যার সহিত নরেন্সের সম্বন্ধ স্থির করিয়াছিলেন, তাহা পূৰ্ব্বে উক্ত হইয়াছে। এখন এই দুৰ্দশার সময়ে উক্ত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হইলে সংসারের অনেক সুবিধা হইত সন্দেহ নাই, কারণ কন্যার পিতা যৌতুক স্বরূপ প্রচুর অর্থ দিতে সন্মত হইয়াছিলেন, কিন্তু বিবাহবিমুখ, নরেন্দ্র কিছুতেই ইহাতে সন্মত হইলেন না। তিনি পূর্ববৎ