পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণচরণে SSN) দেন নাই। এক এক সময়ে তাহার নিজেরও মনে হইত—কেন এমন হয় ? সামান্য একজন বালক, তাহার জন্য তঁার এত চিত্তচাঞ্চল্য কেন হয় ? তিনি মা’র নিকট কাদিয়া ইহার উত্তর জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন। তাহাতে মা নাকি বলিয়াছিলেন “তার ভেতর নারায়ণের সত্তা দেখতে পাস ব'লে। অমন হয়।” হাজরা বলিয়া একব্যক্তি দক্ষিণেশ্বরের কালীবাড়ীতে থাকিতেন। তিনি পরমহংসদেবকে বলিয়াছিলেন “তুমি দিনরাত এই সব ছোড়াদের ভাবনা ভাবাে, ভগবানকে ভাৰূবে কখন ? তাহাতে পরমহংসদেব মা’র নিকট কাদিয়া বলিয়াছিলেন ‘মা, হাজরা বলে নরেন্দ্রের আর এইসব ছেলেদের জন্য এত ভাবি কেন ? তাহাতে মা তাহাকে স্পষ্ট দেখাইয়াছিলেন যে, তিনিই সব মানুষ হয়েছেন, তবে শুদ্ধ আধারে তঁার প্রকাশ বেশী। তিনি গল্প করিতেন, “সেইরূপ দৰ্শন ক’রে যখন সমাধি একটু ভাঙ্গলো, হাজরার উপর রাগ করলুম। বল্লুমগুগুলী, আমার মন খারাপ করে দিয়েছিল,” আবার ভাবলুম ও খ্রিই বা কি দোষ ? কেমন ক’রে জানবে ?” তিনি আরও লিড়েন “আমি দেখি ছােকরার দেন সাক্ষাৎ নারায়ণ। নরেন্দ্রকে যখন ষ্ট্ৰথম দেখি তখন তার শরীরের হুস ছিল না। যেই চুলুম অমনি বাহ্যজ্ঞান হারালোঁ । তারপর তাকে দেখুবার ‘জন্য প্ৰাণের ভৃেত্যুর আকুলি-বিকুলি কৰ্ত্তে লাগুলো । সময়ে সময়ে এমন যন্ত্রণ হ’তো যে, মনে হ’ত বুকের ভেতরটা কে যেন গামছা নিংড়েবার মত ‘ জোরাষ্ট্ৰক’রে নিংড়াচ্ছে। তখন স্নার সামূলাতে পাৰ্ত্তম না, ছুটে বাগানের উত্তরাংশে চলে যৌতুম, ঝাউতলায় যেখানে বড় একটা কেউ যায়ন—সেই খানে গিয়া চীৎকার কৰ্ত্তাম ‘ওরে তুই আয়রেতোকে না দেখে আর থাকৃতে পারছি না রে।” খানিকটা এই রকমে