পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆ Հե* স্বামী বিবেকাননন্দ ३भ थ७ আমাকে চিরকালের মত বাধিয়া ফেলিয়াছে—এক তিনিই ভালবাসিতে জানিতেন ও পারিতেন-সংসারের অন্য সকলে স্বাৰ্থ সিদ্ধির জন্য ভালবাসার ভাণমাত্ৰ করিয়া থাকে ৷” পরমহংসদেব নরেন্দ্রকে লক্ষ্য করিয়া বলিতেন “খুব উঁচু ঘর, পুরুষের সত্তা ; এত ভক্ত আসছে, ওর মত একটিও নাই।” ইহা হইতেই বুঝিতে পারা যায় তিনি নরেন্দ্ৰকে কত বড় আধার বলিয়া মনে করিতেন। তিনি সকলেরই ভিতরের অবস্থা উত্তমরূপে জানিতেন এবং সকলের সম্মুখে মুক্তকণ্ঠে তাহ প্ৰকাশ করিতেন। একবার তিনি বলিয়াছিলেন ‘কেশবের যদি একটা বড় শক্তি থাকে, নরেন্দ্রের সে রকম আঠারটা শক্তি আছে।” আর একবার বলেছিলেন, “দেখলুমফুষেন কেশবের ভিতর একটা জ্ঞানের প্রদীপ জ্বলছে, আর নরেন্দ্রের মধ্যে জ্ঞান-সুৰ্য্য প্রকাশ পাচ্ছে।” অন্যান্য শিষ্যের নিকট হইতে তিনি সেবা গ্ৰহণ করিতেন, কেহ তঁহাকে বাতাস করিত, কেহ পা টিপিয়া দিত, কিন্তু নরেন্দ্রকে তিনি কখনও সেবা করিতে দিতেন না। বোধ হয়। আঁঠুর্ক নারায়ণ জ্ঞান করিতেন বলিয়াই ঐ রূপ করিতেন। নরেন্দ্র প্তাহীকে সেবা করিবার জন্য সময়ে সময়ে ব্যস্ত হইতেন, কিন্তু তিনি বলিতেন। “তোর পথ আলাদা।” পরমহংসদেব যে নতুন্দ্রকে অতিশয় উচ্চ আধার বলিয়া মনে করিতেন, একথা তিনি নরেন্দ্রের সম্মুখে ভুতুং ত্যাহার অসাক্ষাতে অন্যান্য ভক্তদের নিকটও বহুবার প্রকাশ করিয়া বলিয়াছিলেন। তিনি প্রায় বলিতেন—“ও খাপ-খোলা তলোয়ার’, পুরুষের ভাব, ওর ভেতর’, ‘ও অখণ্ডের (নিরাকারের )। ঘর’, ‘সপ্তর্ষির* একজন, নর* এই সপ্তর্ষি পুরাণোক্ত মরীচি, অত্রি প্রভৃতি নহেন। একদিন খ্রীরামকৃষ্ণদেৱ সমাধিপথে জ্যোতিৰ্ম্ময় রাজ্যে বিচরণ করিতে করিতে দেখিয়াছিলেন, “অখণ্ডের রাজ্যে