পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Xbo স্বামী বিবেকানন্দ, S as পরিচালিত করিতেছিলেন। তঁহাকে দেখিবামাত্র তিনি কামিনীকাঞ্চন ত্যাগী মহা শুদ্ধ-সত্ত্ব আধার বলিয়া বুঝিয়াছিলেন, তাই বলিতেন “এ নিত্যসিদ্ধের থাক।” আরও বলিতেন ‘এ, যেদিন নিজকে জানতে পারবে সেদিন আর দেহ রাখুবে না।” নরেন্দ্রের মায়ারাহিত্য সম্বন্ধে তাহার, এরূপ দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, কিঞ্চিৎ মায়ার প্রভাব না থাকিলে পাছে তিনি জগতের কোন কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত না হইয়া একেবারে স্বস্বরূপে প্ৰয়াণ করেন, এই ভয়ে তিনি মহামায়ার নিকট কাদিয়া প্রার্থনা করিতেন—“মা ওর ভেতর একটু মায়া প্রবেশ করাইয়া দে, নতুবা কোন কাজ হবে না।” এইরূপ উত্তম অধিকারী প্রাপ্ত হইয়া পরমহংসদেবের আনন্দের সীমা ছিল না। তিনি বুঝিয়াছিলেন যে ইহারই সাহায্যে আবার সনাতন ধৰ্ম্মের পুনরভৃদয় হইবে। তাই তিনি সযত্নে ধীরে ধীরে নরেন্দ্রের ভ্রান্ত সংস্কারগুলির উচ্ছেদ সাধন করিতেছিলেন। যে নরেন্দ্ৰ প্ৰথমে কিছুই মানিতেন না, ঘোর সংশয়বাদী ছিলেন, তিনি ক্ৰমে সবই মানিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিপদে পরমহংসদেবকে বাজাইয়া লইয়াছিলেন। র্তাহার কোন কথা বা উপদেশ বিনা প্রমাণে সত্য বলিয়া মানিয়া লন নাই। প্রথম র্তাহার প্রত্যেক কথায় সন্দিহান হইয়া পরীক্ষা করিতেন, তারপর পুনঃ পুনঃ তাহদের সত্যতার নিঃসন্দেহ প্রমাণ পাইয়া শেষে ওরূপ অভ্যাস অনেকটা ত্যাগ করিয়াছিলেন, কিন্তু তথাপি একেবারে ত্যাগ করিতে পারেন নাই। উদাহরণ-স্বরূপ এখানে একটী বিষয়ের উল্লেখ করিলাম। অনেক সময় পরমহংসদেব যাহার তাহার হাতে, জল খাইতেন না, বা যাহার তাহার স্মৃষ্টি, খাদ্ধাদি গ্ৰহণ করিতেন না। নরেন্দ্ৰ মনে করিতেন। উহা কুসংস্কার মাত্র, কিন্তু পরমহংসদেবকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিয়াছিলেন, ঐ লোকগুলি