পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণচরণে yo করিলে তিনি বিশেষ প্রসন্নতা লাভ করিতেন। এই সময়ে একদিন পরমহংসদেব তাঁহাদের ডাকিয়া ঐরােপ অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করিলে, তাহারাও র্তাহার বাক্যে অতিশয় উৎসাহ প্ৰকাশ করিয়া তৎক্ষণাৎ ভিক্ষাপাত্ৰ হন্তে পঞ্জীমধ্যে বহির্গত হইলেন এবং ভিক্ষালব্ধ অন্ন স্বহস্তে পাক করিয়া তাহাকে নিবেদন করিলেন। এইকালে তিনি একদিন, যুবক ভক্তদের যাহারা তাহার সেবার জন্য সর্বদা তাহার নিকটে অবস্থান করিতেন তাহাদিগকে গেরুয়া প্রদান করিয়া সন্ন্যাসব্রতে দীক্ষিত করেন ও তদবধি তীহাদের যেখানে সেখানে আহারাদি করিলেও কোন দোষ স্পশাবে না বলিয়া দেন । রামকৃষ্ণদেবের তিরোধানের অব্যবহিত কয়েক দিবস পূর্বে, র্তাহার শিষ্যেরা একদিকে যেমন তঁাহাকে পাছে হরাইতে হয় মনে করিয়া - , দুঃখের সাগরে ভাসিতেছিলেন, ‘ অন্যদিকে তেমনি ধ্যান-ধারণা ও তপস্যাদিতে অভূতপূৰ্ব অভিজ্ঞতা লাভ করিয়া আনন্দরসে মগ্ন হইতেছিলেন। নরেন্দ্র মাঝে মাঝে পরমহংসদেবের যন্ত্রণা নিবারণের কোন উপায় করিতে না পারিয়া নিতান্ত হতাশভাবে ছুটিাছুটা করিতেন। একদিন তিনি প্রতিজ্ঞা করিলেন, যে করিয়াই হউক পরমহংসদেবের যন্ত্রণা নিবারণে সমর্থ একজনকে খুজিয়া বাহির করিবেন এবং সন্ধ্যার পৃরু হইতেই ‘রাম ‘রাম’ শব্দে গগন বিদীর্ণ করিতে করিতে উন্মত্তের ন্যায় বাগানের চতুদিকে দুটাছুটি করিতে লাগিলেন। তখন প্রবল মানসিক আবেগে “তঁহার বাহ্যজ্ঞান অন্তহিত-প্ৰায় হইয়াছিল, কিন্তু ভিতরে দারুণ অশান্তির আগুণ জলিতেছিল। তিনি সমস্ত রাত্রি ঐশ্নরূপ করিয়া বেড়াইলেন এবং যতই রাত্ৰি গভীর হইতে লাগিল, ততই তাঁহার কণ্ঠধ্বনি উচ্চ হইতে উচ্চতর হইতে লাগিল। রজনীর শেষামে রামকৃষ্ণদেব তাহার উক্তবিধ চীৎকারধ্বনি শুনিতে