পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণচরণে YS) তাকে এখানে আসতেই হ’বে।” এই বলিয়া নিম্নলিখিত গল্পটি বলিলেন। —“দেখ একটা ময়ুর একজনের বাগানে রোজ আসতো, সে লোকটা খাবারের সঙ্গে একটু আফিঙ মিশিয়ে ময়ুরটাকে রোজ খেতে দিত। দিনকতক পরে ময়ুরটার এমনি অভ্যাস হয়ে গেল যে বাগানে না এসে আর থাকতে পারতো না । নরেনেরও জানিবি সেই অবস্থা । এদিক ওদিক যাচ্ছে বটে, কিন্তু এখানে যে রস পেয়েছে সে রস ছেড়ে যাবে কোথায় ?” কিন্তু তিন দিন অতিবাহিত হইয়া গেলেও যখন নরেন্দ্ৰাদি ফিরিলেন। না, তখন তাহারা উদ্বিগ্নচিত্তে নরেন্দ্ৰ যাহাতে ফিরিয়া আইসে তাহার উপায় করিবার জন্য পরমহংসদেবকে ধরিয়া বসিলেন । পরমহংসদেব তাহাতে মাটিতে একটি দাগ কাটিয়া বলিয়াছিলেন ‘এর বেশী আর তাদের যাবার ক্ষমতা নেই।” এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই নরেন্দ্ৰাদি প্ৰত্যাগমন করিলেন । গুরুভ্রাতারা তাহাদিগকে আলিঙ্গন করিয়া কৃতাৰ্থ হহঁলেন। ও নৃত্যগীতবাদ্য করিয়া আনন্দের হাট বসাইলেন । কাশীপুরের বাগানে থাকিতে নরেন্দ্র পরমহংসদেবের নিকট পুনঃ “ পুনঃ নিৰ্বিকল্প সমাধি অবস্থা প্ৰাপ্তির ইচ্ছা প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। পরমহংসদেব উত্তর দিয়াছিলেন, “আমি ভাল হ’লে তুই যা চাইবি দেব।” তাহাতে নরেন্দ্র একদিন বলেন, “কিন্তু আপনি যদি আর ভাল না। হন, ड श्न अशांज़ कि श्व ?” পরমহংসদেব অন্যমনস্ক ও কতকটা স্বগতোক্তিভাবে বলিয়াছিলেন, “শালা বলে কি ?” বোধ হয় তিনি প্ৰাণতুল্য প্রিয়শিষ্যের অমূলক আশঙ্কা দেখিয়া দুঃখিত হইয়াছিলেন। কারণ তিনি জানিতেন নরেন্দ্রের ন্যায় উপযুক্ত শিষ্যের আধ্যাত্মিক উন্নতি কোনও গুরুর বিদ্যমানতা বা অবিদ্যমানতার উপর নির্ভর করে না। যাহা, হউক, তারপর তিনি ধীরভাবে জিজ্ঞাসা করেন, “আচ্ছা তুই কি