পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ88 স্বামী বিবেকানন্দ ఇN চাস বল |” নরেন্দ্ৰ বলিলেন, “আমার ইচ্ছা হয় শুকদেবের মত একেবারে পাঁচ ছয় দিন ক্রমাগত সমাধিতে ডুবে থাকি, তারপর শুধু শরীর রক্ষার জন্য খানিকটা নীচে নেমে এসে আবার সমাধিতে চ’লে যাই ।” শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণদেব ঈষৎ উত্তেজিত কণ্ঠে বলিলেন, “ছিছি! তুই এত বড় আধার, তোর মুখে এইকথা ! আমি ভেবেছিলুম কোথায় তুই একটা বিশাল বটগাছের মত হবি, তোর ছায়ায় হাজার হাজার লোক আশ্রয় পাবে, তা না হ’য়ে কিনা তুই শুধু নিজের মুক্তি চান্দু? এ তাে তুচ্ছ, , অতি হীন কথা । নারে, অত ছোট নজর করিস্নি। আমি বাপু সব ভালবাসি। মাছ খাব তো ভাজাও খাব, সিদ্ধও খাব, ঝোলেও খার, অন্বলেও খাব ৷ তাকে সমাধি অবস্থায় নিগুৰ্ণভাবেও উপলব্ধি করি, আবার নানা মূৰ্ত্তির ভিতর ঐহিক সম্বন্ধবোধেও ভোগ করি। একঘেয়ে ভাল লাগে না। তুইও তাই করু। একাধারে জ্ঞানী আর ভক্ত দুই হু।” উপরোক্তরূপ তিরস্কারসূচক বাক্যে নরেন্দ্রের চক্ষু হইতে অজস্র বাষ্পবারি বিগলিত হইতে লাগিল। তিনি পরমহংসদেবের মনোভাব বুঝিলেন । বুঝিলেন যে পরমহংসদেব তঁহাকে সমাধিলাভ করিতে নিষেধ বা নিরুৎসাহ করিতেছেন না,* কিন্তু সেই অবস্থালাভই তাহার ন্যায় ব্যক্তির একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিৎ নহে। ইহাই বলিতেছেন। বিশাল ব্ৰহ্মাণ্ডের যে কোটি কোটি জীব ঘোর অন্ধকারে আবৃত রহিয়াছে তাহদেরও উপায় করা তাহার অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। সাধারণ লোকেরাই আপন মুক্তির প্রয়াসী হয়। কিন্তু নরেন্ত্রের ন্যায় অসাধারণ পুরুষের পক্ষে ( যাহাকে তিনি নিত্যসিদ্ধ বা আচাৰ্য কোটির থাক্‌ বলিয়া উল্লেখ করিতেন ) স্ট্ররূপ মুক্তির প্রয়াসী হওয়া বিশেষ প্লাঘনীয় নহে। রাজপুত্র কি মুটে মজুরের ন্যায় দুই চারি টাকা পাইল্পী সন্তুষ্ট, থাকিলে শোভা পায় ? ' ? ? ? ?