পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δ 88 স্বামী বিবেকানন্দ Sય શ\જી হাতে রহঁল । এখন .তাকে কাজ ক’ত্তে হবে । যখন আমার কাজ শেষ হবে তখন আবার চাবি খুলবো ।” তারপর তিনি তাহাকে শরীরের প্রতি অযত্ন করার জন্য মৃদু ভৎসনা করিয়া আহার ও সঙ্গী নিৰ্বাচন বিষয়ে সাবধান হইতে উপদেশ দিলেন ।

  • সমাধি হইতে বুখানকালে কিরূপ অবস্থা হয় তাহার পরিচয় আমরা কতকটা পাইলাম। কিন্তু সমাধিকালে অন্তরে কিরূপ অনুভূতি হয় সে সম্বন্ধে আমাদের কোনও ধারণাই হয় না । স্বামিজী স্বয়ং “নাহি সুৰ্য্য, নাহি জ্যোতিঃ, নাহি শশাঙ্ক সুন্দর” এই গানটিতে ঐ বিষয়ের কিঞ্চিৎ আভাস দিয়া গিয়াছেন। তবে সেদিনকার ঘটনাটি এইরূপ श्वांछिल । তিনি শয়নাবস্থায় ধ্যান করিতেছিলেন, হঠাৎ অনুভব করিলেন যেন । "মস্তকের পশ্চাদেশে উজ্জল আলোকরাশি প্রজ্জলিত হইয়াছে। ক্ৰমে সেই আলোক আরও উজ্জ্বল হইতে লাগিল। সঙ্গে সঙ্গে বােধ হইতে লাগিল যেন চন্দ্ৰ সুৰ্য্য আকাশ নয়ন-সন্মুখ হইতে মুছিয়া যাইতেছে, বিশ্বসংসার টলিতেছে, ক্রমে মন একেবারে বাহাজগৎ ভুলিয়া গিয়া এক অখণ্ড জ্যোতিঃসমুদ্রে নিমগ্ন হইয়া গেল। দেশ কাল পাত্রের আর কোনও বোধ রহিল। না ; শুধু ব্ৰহ্মসত্তা ভাসিতে লাগিল। স্বামিজী বলিয়াছিলেন, “সেদিন । দেহাদি বুদ্ধির এককালে অভাব হয়েছিল। প্রায় লয় হয়ে গিয়েছিলুম। আর কি ! একটু “অহং’ ছিল, তাই সেই সমাধি থেকে ফিরেছিলুম। ঐ রূপ সমাধি কালেই “আমি” আর ‘ব্রহ্মের”ভেদ চ’লে যায়-সব এক হ’য়ে যায়, " -যেন মহাসমুদ্রে-জল কিছুই নাই—ভাব আর ভাষা সব ফুরিয়ে যায়।” সমাধি অবস্থা হইতে নীচে নামিয়া আসার পর তাহার বােধ হইতে লাগিল, যেন মন্তক ব্যতীত আর কিছুই নাইট্ৰতিনি সেই । অবস্থায় গোপালদাকে ডাকিয়াছিলেন । । བ་

এই সময়ে নরেন্দ্ৰনাথের ধ্যানাবস্থা কিরূপ পরিপক্কতা লাভ করিয়া