পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণচরণে S3 করিবার আগ্রহ তাহার এরূপ প্ৰবল ছিল যে, পরমহংসদেবের শেষ মুহূৰ্ত্তে যখন প্ৰাণবায়ু বহির্গত হইবার উন্মুখ হইয়াছে তখনও তিনি তাহার শয্যাপার্থে দণ্ডায়মান হইয়া মনে মনে চিন্তা করিতেছেন “আচ্ছা উনি তো অনেক সময়ে নিজকে ভগবানের অবতার বলে পরিচয় দিয়েছেন। এখন ... এই সময়ে যদি বলতে পারেন “আমি ভগবান।” তবেই বিশ্বাস করি।” কি আশ্চৰ্য্য ! সেই মুহূৰ্ত্তে নিদারুণ রোগযন্ত্রণার মধ্যে পরমহংসদেব তাহার দিকে মুখ ফিরাইয়া বলিলেন, “এখনও তোর জ্ঞান হোলো না ? সত্যি সত্যি বলছি, যে রাম যে, কৃষ্ণ-সে-ই ইদানীং এ শরীরে রামকৃষ্ণতবে তোর বেদান্তের দিক দিয়ে নয়!” এই অপ্রত্যাশিতপূৰ্ব বাক্য শ্ৰবণে নরেন্দ্র এত বিস্মিত হইলেন যে, যদি সে সময়ে কক্ষমধ্যে বজ্রপাতও হইত তথাপি বোধ হয় তিনি এত বিস্মিত হইতেন না। এরূপ দেবদুর্লভ মহাপুরুষকে এতদূর ক্ষুদ্র সন্দেহের পাত্ৰ মনে করায় তখন তাহার অন্তরে বিষম অনুতাপের উদয় হইল এবং তিনি অবিরল অশ্রুজল বিসর্জন করিতে লাগিলেন । vis ইহার দুই দিবস পরে পরমহংসদেব লীলা সংবরণ করেন। অধ্যাত্মরাজ্যের একটি উজ্জ্বলতম নক্ষত্র চিরদিনের জন্য ইহলোক হইতে অস্তমিত হইল ।

  • 咏 亲 米 আমরা এখানে পরমহংসদেব সম্বন্ধে কোনও কথা বলিবার চেষ্টা করিব না। কারণ তিনি ঘৈঁকি ছিলেন তাহা কোনও কালে কেহ বুঝতে পরিবে কিনা সন্দেহ। স্বয়ং স্বামির্জা পৰ্যন্ত বলিয়া গিয়াছেন 66লোকে । ঠাকুরের সম্বন্ধে যাহা বলে-সে সব partial truth (আংশিক সত্য) মাত্র। যে যেমন আধার সে ঠাকুরের ততটুকু নিয়ে আলোচনা