পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

56: ० স্বামী বিবেকানন্দ SS 29 ঐগুলিতে অধিকার নাই, দ্বিতীয়তঃ, অধিকার থাকিলেও সন্ন্যাসীরা নিঃসম্বল, তাহদের নিজেদেরই মাথা গুজিবার স্থান নাই, উহার উপর আবার ঐ সব অস্থি ও ভস্মাবশেষ রাখিবেন কোথায় ? সুতরাং তাহারা ভক্ত রামচন্দ্ৰ দত্ত মহাশয়ের প্ররোচনায় ঐগুলি কঁকুড়াগাছির উদ্যানে রক্ষা করিবার সঙ্কল্প করিলেন । সন্ন্যাসীরা-বিশেষতঃ শশী ও নিরঞ্জন মহারাজ কিছুতেই ঐ প্রস্তাবে সম্মত হইলেন না। সুতরাং উভয়পক্ষে ক্রমশঃ বিষম কলহের সূত্রপাত হইল। এই গোলযোগের সময়ে নরেন্দ্ৰ মধ্যস্থ হইয়া দাড়াইলেন । তিনি গৃহীদিগকে “অস্থি দিব।” বলিয়া অঙ্গীকার করিয়া আসিলেন এবং সকল সন্ন্যাসী-ভ্রাতাকে ডাকিয়ঃ বলিফোন “তোরা কি মনে করিসূ ঠাকুরের দেহাবশেষ অধিকারে থাকিলেই তঁহার উপযুক্ত শিষ্য হওয়া যায়, না- উহাই তঁহার উপর ভক্তি-শ্রদ্ধার সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ ? যদি আমরা তঁার প্রকৃত শিষ্য হইতে ইচ্ছা করি, তাহা হইলে তঁর দেহাবশেষ লইয়া বিবাদ করা অপেক্ষ বরং আমাদের উচিত। তঁর উপেদেশানুযায়ী জীবন গঠন করা। আয়, আমরা সেই চেষ্টা করি।” এই কথায় সকলে সম্মত হইলে, স্বামীজি অপর সকলের সহিত একত্রে দেহাবশেষ-পাত্ৰটী নিজশিরে বহন করতঃ কাকুড়গাছির উদ্যানে পৌছাইয়া দিয়া আসিলেন । কিন্তু তৎপূৰ্ব্বে উহার অভ্যন্তরস্থ পূত দেহাবশেষের অৰ্দ্ধাংশেরও অধিক বাগবাজার নিবাসী শ্ৰীযুক্ত বলরাম বসু মহাশয়ের বাটীতে রাখিয়া দেওয়া হইয়াছিল। পরে উহা মঠে লইয়া গিয়া ఛజ్ఞణి}'; নিত্য সেবা-পূজার ব্যবস্থা করা হয়। অনন্তর চতুর্দশবর্ষ পরে উহা । স্বামীজি কর্তৃক মহা-মহােৎসবে বেলুড় মঠে আনীত ও তথায় স্থায়ীভাবে -