পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বরাহনগর মঠে তপস্যা ১৬৩ এই প্রসঙ্গে তিনি নিম্নলিখিত উপাখ্যানটা বৰ্ণনা করিতেন—“এক রাজা একজন সাধুকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন ঈশ্বরের স্বরূপ ও লক্ষণ কি ? সাধুটী কোন উত্তর না দিয়া নীরব রহিলেন। রাজা অনেক্ষণ অপেক্ষা করিয়াও যখন উত্তর পাইলেনীৰ্ণনা, তখন অসহিষ্ণু ভাবে পুনরায় ঐ প্রশ্নের উত্তর প্রার্থনা করিলেন। তাহাতে সাধু উত্তর দিলেন, “মহারাজ, আমি ত অনেকক্ষণ হইতে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতেছি, কারণ নীরবতাই তাহার লক্ষণ ।”* * উপরোক্ত উপদেশমতে সন্ন্যাসীরা নিৰ্জনতার আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়া গভীর চিন্তায় মগ্ন হইতেন। འཚོ་ বস্তুতঃ সে সময়ে বরাহনগর মঠ নরেন্দ্ৰপ্ৰমুখ রামকৃষ্ণ-শিষ্যেরা যে উৎকট সাধনায় ব্ৰতী হইয়াছিলেন, তাহার তুলনা জগতে অতি বিরল। র্যাহারা মঠে সে সময়ে তাহাদিগকে দেখিতে যাইস্ক্রে"। তাঁহাদের মধ্যে অনেকে এখনও বলেন, “সে যে কি কঠোর তপস্যা তাহা মুখে কি বলিব ? সে কঠোরতা সহ্য করা সাধারণ মনুষ্যের পক্ষে অসম্ভব।” অথচ সন্ন্যাসীরা নিজে তাহাকে বড় বিশেষ কঠোর বা কষ্টকর বলিয়া বিবেচনা করিতেন না, বা তাহা পৰ্যাপ্ত বুলিয়া সন্তুষ্ট হইতে পারিতেন না ষ্টি তাহারা প্ৰায় দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যগঞ্জকরিয়া বলিতেন “ওঃ ! ঠাকুরের কি অদ্ভুত বৈরাগ্য ও ব্যাকুলতা ছিল! তিনি যা দেখাইয়াছেন আমরা তার এক আনাও করিতে পারিতেছি না। হায় হায়! আমাদের কি দুর্ভাগ্য! আমরা কি অপদার্থ।” “কিন্তু বাস্তবিক নরেন্দ্রের কার্য্য দেখিলে তথম মনে হইত, তিনি তপস্তানলে আপনাকে ভস্মীভূত করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হইয়াছেন, মনে হইত যেন : ভীহার অন্তরের প্রবল ব্যাকুলতা ও ঈশ্বর-সন্দৰ্শন-তৃষ্ণা দেহপিঞ্জর ভগ্ন : • উপনিষদে আছে-গ্ৰাৱস্থবিকে ব্রহ্মের স্বরূপ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলিয়াছিলেন