পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

st পার্থিব দেহত্যাগ করিলেও তঁহার প্রভাব বিলুপ্ত হয় নাই, বরং উহ! উত্তরোত্তর বৃদ্ধিপ্ৰাপ্ত হইতেছে ও আশা করা যায় কালে আরও সুদূরপ্রসারিত হইবে। তাহার আদর্শ অবলম্বন করিয়া আজকাল অনেকে অনেক জনহিতকর অনুষ্ঠানের অবতারণা করিতেছেন, ইহা অতীব আনন্দের বিখয় । এমন কি বিভিন্ন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকে র্তাহার ভাবগুলির সাহায্যে আপনাপন সম্প্রদায়কে অধিকতর উন্নত করিা বার সুযোগ প্ৰাপ্ত হইতেছেন । ইহাতে মনে হয়। ভারতে আবার এক নবীন যুগ আরম্ভ হইয়াছে। সে যুগের। প্ৰবৰ্ত্তক বা প্রধান পথপ্রদর্শক স্বামী বিবেকানন্দ এবং তঁাহারা ভাব ও আদর্শ, জাতিবর্ণ ও সম্প্রদায়নির্বিশেষে ভারতের সর্বত্র অব্যাহত ভাবে প্রসারিত হইতেছে । 'এইরূপ হওয়া উচিত ও বাঞ্ছনীয় । কারণ নিজেদের উন্নতি নিজেদের চেষ্টার উপর নির্ভর করে, আর উহা সাতটা বিপথে চালিত না হইয়া ধৰ্ম্ম ও সৎপথে চলে ততই ভাল । স্বামীজি যে এইরূপ সাৰ্ব্বভৌম ও সাৰ্ব্বজনীন সংস্কারকরূপে গৃহীত হইয়াছেন ইহাতে আশ্চৰ্য্য হইবার কিছুই নাই। তিনি বুঝিয়াছিলেন সমাজসংস্কার বা রাজনীতিচর্চা দ্বারা এদেশের উন্নতি সম্ভব নহে। জ্ঞান, বৈরাগ্য, অহিংসা, নিলোভতা, নিরহঙ্কার ও কৰ্ম্মযোগ চিরদিন যে দেশের আদর্শ সে দেশ ধৰ্ম্মের উন্নতি ব্যতীত অন্য কিছু দ্বারা উন্নত হইবে না। আর সে ধৰ্ম্ম কতকগুলি লোকাচার ও দেশাচারের সঙ্কীর্ণ গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ নহে। তাহ আৰ্য্য ঋষিদিগের প্রচারিত উদার বেদান্ততত্ত্ব। তাই তিনি বেদান্তের বিজয়-দুন্দুভি ঘোষণা করিলেন-অমনি শত সহস্ৰ ধৰ্ম্মপিপাসুহৃদয় তাহার পতাকাতলে আসিয়া দণ্ডায়মান হইল। কিন্তু বক্তা অনেক আছেন, । পণ্ডিত অনেক আছেন, জ্ঞানী অনেক আছেন, কৰ্ম্মীও অনেক আছেন,