পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিল। কিন্তু সে ছােট কাপড়, আধখানা কােমরে জড়াইতে কুলীয় না। স্বামীজির জন্ম ও বাল্যকথা দেখিয়া মা বলীিতন। ‘অনেক মাথা খুঁড়ে শিবের কাছে একটা ছেলে চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি পাঠিয়েছেন একটা ভূত’। ক্ৰোধ প্ৰশমনার্থ অনেক সময় তিনি পুত্রের মস্তকে হুড়হুড়া করিয়া জুলু ঢালিয়া দিতেন। ও ভয় দেখাইয়া বলতেন ঘদি দুষ্টমী করি। তবে শিব আর তােকে কৈলাসে যেতে দেবেন না” । বালক অমনি চীৎকার ক্ৰন্দন ছাড়িয়া চুপ করিত। 闵 অনেকদিন পরে স্বামীজির শ্বেতকায় শিষ্যেরা বৃদ্ধ ভূবেনশ্বরীমাতার নিকট এই সকল গল্প শুনিয়া হাসিতে হাসিতে বলিয়াছিলেন - “আঙ্গুষ্ট স্বামিজী তা হ’লে ছেলেবেলায় বড় দুরন্ত ছিলেন ? মাতা উত্তর: করিয়াছিলেন “কি বল গো ! তাকে দেখবার জন্য দুটাে কী অষ্টপ্রহর তার সঙ্গে সঙ্গে ঘুরতো।” তিনি এ গল্প করিতেন ‘ছেলেবেলা থেকে নরেনের একটা মহৎ দোষ ছিল। কোন কারণে যদি কখনও রাগ হ’ত তা হ’লে আর জ্ঞান থাকৃত না, বাড়ীর আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরে তচনচ কািন্বত ।” বাটীতে সাধুসন্ন্যাসী আসিলে’ স্বামীজি অমনি দেখিতে ছুটতেন। কোনরূপে প্তাহাকে তখন ধরিয়া রাখা যাইত না। সন্ন্যাসী কিছু চাহিলে তিনি তৎক্ষণাৎ তাহার প্রিার্থিত gry আনিয়া দিতেন । ইহাতে অনেক সময় বড় মুস্কিল ইহঁত। একবার তাহার নূতন কাপড় হইয়াছে, সেখানি পরিয়া তিনি সমবয়স্ক , সঙ্গীদিগের সহিত" খুব: আড়ম্বর করিয়া বেড়াইতেছেন, এমন সময়ে “নারায়ণ হরি।” “নারায়ণ হরি!” বলিতে বঙ্কিত এক সন্ন্যাসী দ্বারদেশে উপস্থিত হইলেন। স্বামিজী আনন্দে তাহার পানে ছুটিয়ার্ট গেলেন। সন্ন্যাসী একখানি भूर्छि চাহিলেন। বালক অমানবদনে নিজ পরণের ধুতি খুলিয়া, তাহাকে