পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Ꮈbr স্বামী বিবেকানন্দ । Y N *\s) কারণ সৰ্ব্বগুণাধার রামচন্দ্ৰকে তাহার আদর্শ পুরুষ বলিয়া বোধ হইত। ভক্তশ্রেষ্ঠ অদ্ভুতকৰ্ম্ম হনুমানও তাহার অল্প শ্ৰদ্ধার পাত্র ছিলেন না। তিনি হনুমানের দর্শনলাভের জন্য অতিশয় উৎসুক হইয়াছিলেন। শুনিয়াছিলেন নাকি রাম-সেবককে তদগত চিত্তে ধান করিলে তঁাহার দর্শন পাওয়া যায়। একবার এক কথক। কথকতা করিতে করিতে বলিয়া ছিলেন যে, হনুমান কদলীবনে থাকেন। ব্যস্তভাবে নরেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন ‘সেখানে গেলে কি তঁকে লেখ তে পাওয়া যায় ? কথক বালকের কৌতুকাবহ প্রশ্নের উত্তরে বলিলেন ‘হঁ্যাগো, গিয়ে দেখ না।” সে রাত্রে গৃহে ফিরিবার সময় স্বামীজির মনে হইল যে বাটীর সন্নিকটেই কয়েকটা কদলীর ঝোপ আছে। তৎক্ষণাৎ তিনি তাহার মধ্যে প্রবেশ করিয়া একটী বৃক্ষের তলে চক্ষু মুদ্রিত করিয়া বসিলেন এবং গভীর আগ্রহের সহিত পুনঃ পুনঃ হনুমানজীর দর্শন প্রার্থনা করিতে লাগিলেন। কিন্তু অনেকক্ষণ অতিবাহিত হইয়া গেলেও যখন তঁহার দর্শনলাভ ঘটিল না। তখন তিনি নিতান্ত ক্ষুঃমনে গৃহে ফিরিয়া গেলেন। সকলে তঁহাকে প্ৰবোধ দিয়া বলিলেন ‘ওরে বিলে, বোধ হয়। আজ হনুমান প্রভুর কাজে অন্য কোথাও গিয়াছেন, তাই তার দেখা পাস্নি।” । ইহাতে তিনি কতকটা আশ্বস্ত হইলেন। পরবর্তীকালে স্বামীজী এন্টু ঘটনার উল্লেখ করিয়া সোৎসাহে মহাবীর হনুমানের সম্বন্ধে অনেক আলোচনা করিতেন। মহাবীরের মহাচ্চরিত্র তাহার, হৃদয়ে এতাদৃঢ় ভাবে অঙ্কিত হইয়াছিল যে, এমন কি বেলুড় মঠে তিনি ভীস্থার একটি প্রস্তর মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণের সঙ্কল্প করিয়াছিলেন। རྩ་ শৈশবেই তাহার চরিত্রে দৃঢ়তার লক্ষণ দেখা গিয়াছিল। সে সময়ের একজন দূরদর্শী প্রাচীন ব্যক্তি তাহার পরিচয় পাইয়া বলিয়াছিলেন। 1 • x * 2: ‘কালে এই ছেলে মন্ত লোক হবে।’ ব্যাপারটা এইরূপ :- ???