পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যালয়ে \ტტ; * তা’ না হ’লে কি আর একটা কানাকড়ি সঙ্গে না নিয়ে দুনিয়াটা ঘুরে আসতে পারতুম রে!” চলিত ভাষায় “ডানপিটো” শব্দের যে অর্থই হউক, বাস্তবিক শৈশব হইতে র্তাহার চরিত্রে আত্মশক্তি-অনুভব, জনিত প্ৰকৃত নিৰ্ভীকতা ও তৎসহ ‘ভাবী চঞ্চলতার আভাস প্রস্ফুরিত হইয়াছিল। কিন্তু বালসুলভ চপলতা ব্যতীত আর একটি মহত্তর বৃত্তির অন্ধুর এই সময়ে তঁহাতে দেখা দিয়াছিল, সেটি হইতেছে ‘দয়া” । তঁহার জননী পুণ্যশীল৷ ভূবনেশ্বরী মাতা অতিশয় করুণহৃদয়া ছিলেন এবং স্বামিজী তাহার করুণকোমল হৃদয়খানি - স্বীয় জননীর নিকট হইতে প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন । একটি ক্ষুদ্র ঘটনায় ভূবনেশ্বরী মাতার সহৃদয়তার পরিচয় এখানে দিব । স্বামিজীর পিতা একটি বন্ধকী সম্পত্তি সহধৰ্ম্মিণীর নামে লেখাপড়া করিয়া দিয়াছিলেন । দৈন্যদশাগ্ৰস্ত এক মুসলমান পরিবার ঐ সম্পত্তি র্তাহার নিকট বন্ধক রাখিয়াছিল, কিন্তু ঋণ পরিশোধের সময় অর্থ সংগ্ৰহ না হওয়াতে তাহারা অতিশয় চিন্তাযুক্ত হইয়া কাতরভাবে সমুদয় বৃত্তান্ত ভুবনেশ্বরী মাতার নিকট নিবেদন করিলে তাহাদের অনশনক্লিষ্ট মলিনবাদনের ভয়-চকিত কাতর দৃষ্টি উচ্চান্তঃকরণ রমণীর হলদিয়া স্পর্শ করিল এবং তিনি তাহদের করুণ কাহিনী শ্রবণে বিগলিত চিত্ত। হইয়া দ্বিতীয় বাক্যব্যয় না করিয়া তৎক্ষণাৎ বন্ধকী দলিলখানি তাহাদিগকে প্রত্যার্পণ করিলেন। স্বামীজিও এ বিষয়ে সৰ্বাংশে জননীর অনুরূপ ছিলেন। সমবয়স্ক ক্রীড়া-সাখী সকলকে তিনি প্ৰাণ দিয়া ভালবাসিতেন। অনেক সময়ে তাহাদিগের মধ্যে তিনি কাহাকে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক ভালবাসেন ইহা লইয়া ঘোরতর তর্ক হইত। প্রত্যেকেই ভাবিত যে তাঁহাকেই তিনি সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক ভালবাসেন। ক্রীড়াকালে যদি কাহাকেও পীড়িত v