পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ど স্বামী বিবেকানন্দ Sર, શણ “ও ত মুদীর দোকানের বিদ্যে ।” প্রথম কয়েক বর্ষ মেট্ৰপলিটানে অধ্যয়ন কালে তিনি অজীর্ণ রোগে ভূগিয়া অত্যন্ত শীর্ণ হইয়া গিয়াছিলেন,— কিন্তু বালবৃদ্ধিবশতঃ যে সকল খাদ্য এই পীড়ায় অনিষ্টকর সুবিধা পাইলেই তাহ খাইতেন । ক্লাসে কোন নূতন ছাত্ৰ ভৰ্ত্তি হইলে তিনি সৰ্ব্বাগ্রে জিজ্ঞাসা করিতেন তাহার কোন পূৰ্ব্বপুরুষ, বিশেষ ঠাকুরদা, সন্ন্যাসী ছিলেন . কি না । সন্ন্যাস জীবনের প্রতি অনুরক্তি বাল্যাবধি কখনও উর্তাহার হৃদ্রিয়ে হ্রাসপ্রাপ্ত হয় নাই । - সুবিধা পাইলেই সন্ন্যাসী হইতে হইবে এটি তাহার বরাবর মনে মনে ছিল, - এবং শৈশবসুলভ আবেগ বশতঃ সঙ্গীদিগের নিকট বলিতেন ‘বড় হইয়া আমি সন্ন্যাসী হইব, অমুক অমুক জায়গায় যাইব, অমুক অমুক করিব-ইত্যাদি।” কথন কখনও ছেলেরা একত্র হইয়া পরস্পরের হাত দেখিত । কিন্তু হাত দেখা কাজটি তাহারই প্ৰায় একচেটিয়া ছিল । নিজের হাত দেখিয়া তিনি বলিতেন ‘আমি সাধু হইব, এতে আর কোন ভুল নাই দেখ্রিস, আমার হাতে সন্ন্যাসী হবার খুব বড় এক চিহ্ন আছে।” এই বলিয়া তিনি কতকগুলি কররেখা তাহাদিগকে দেখাইতেন। একজন বৃদ্ধ তাহাকে বলিয়াছিলেন। ওগুলি নাকি সন্ন্যাসযোগের পরিচায়ক। নরেন সন্ন্যাসী হইবেন শুনিয়া অন্যান্য সকলেই সন্ন্যাসী হইবার ইচ্ছা! প্ৰকাশ করিত। তারপর কথা হইত। যে বড় বড় সাধুৱা কি করেন । কল্পনা বলে প্রত্যেকেই নিজ নিজ মনে একটা চিত্র অঙ্কিত করিয়া বলিতেন ‘সন্ন্যাসী এই করে, এই করে।” কিন্তু নরেন্দ্ৰ বলিতেন ‘না না তোরা কিছু জানিস্নে, বড় বড় সাধুরা সব হিমালয়ের উপর থাকেন, সে সব জায়গায় মানুষে যেতে পারে না। তাদের সঙ্গে কৈলাস, পৰ্ব্বতের উপর রোজ মহাদেবের দেখা হয়। তোরা যদি সন্ন্যাসী হ’ক্তে