পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যালয়ে Šወዓ চ’াস তবে ঐ সব পাহাড়ে বা গহন জঙ্গলে গিয়ে ঐ রকম মহাত্মাদের ' পায় পড়তে হবে। তারপর তারা এক একটা লম্বা বাঁশের উপর } শুতে দেন। যদি তার ওপর শুয়ে কেউ ঘুমুতে পারে তারপর গেরুয়া। পরিয়ে চেল ক’রে নেন ।” আহা শৈশবের কল্পনা কি সরল ! নরেন্দ্রের এক সহপাঠীর বাটীতে একটি চাপা ফুলের গাছ ছিল । ঘখন আর কিছু ভাল লাগিত না তখন ঐ চাপাগাছের ডালে পা বাধাইয়া হাত ছাড়িয়া মাথা নীচু করিয়া ঝুল খাইতে নরেন্দ্র বড় ভালবাসিতেন। এমন কি দ্বিপ্রহরের রৌদ্রেও ঐরূপ করিতে ভাল লাগিত । চাপাফুল শিবের প্রিয়, নরেন্দ্ৰও চাপাফুল ভালবাসিতেন। একদিন তিনি উপরোক্ত প্রকারে দোল খাইতেছেন এমন সময় ঐ বাটীর কৰ্ত্ত— উক্ত সহপাঠীর বৃদ্ধ ঠাকুরদাদা, নরেন্দ্রের গলা শুনিতে পাইয়। সেথায় উপস্থিত হইলেন। অতটুকু ছেলেকে ঐ রূপ বিপজ্জনক অবস্থায় গাছের উচ্চশাখা হইতে দোদুল্যমান দেখিয়া ও চাপাফুল গুলির শোচনীয় অবস্থা নিরীক্ষণ করিয়া বৃদ্ধ ব্যস্ত-সমস্তভাবে বালককে ; গাছ হইতে নামিতে বলিলেন ও ভবিষ্যতে ঐ গাছে চড়িতে নিষেধ করিলেন। নরেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন ‘কেন, ও গাছটায় চড়লে কি হয় ?” বৃদ্ধ বলিলেন, “ও গাছে একটা বেহ্মদত্যি আছে, তার ভয়ানক চেহারা, নিস্থতি রাত্রে সে একথানা সাদা চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুরে বেড়ায়।” , “ঐ “অদ্ভুত ভূতের কথা শুনিয়া নরেন্দ্ৰ আশ্চৰ্য্য হইয়া ভাবিতে লাগিলেন ভূতেরা কি করে, ঐরূপ বেড়াইয়া বেড়ান ছাড়া তাহদের আর অন্য কাজ আছে কি না ইত্যাদি। এমন সময় বৃদ্ধটি বলিলেন “আর যারা ঐ গাছে চড়ে সে তাদের ঘাড় মট্‌কাইয়া দেয়।” নরেন তখন কিছু বলিল না। কিঞ্চিৎ পরে বৃদ্ধ