পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিতামাতার নিকট শিক্ষা 6 እ বলিলেন ও হাত পাতিলে তাহার উপর সপাসিপি কয়েক ঘা বেত্ৰাঘাত করিলেন। নরেন্দ্র নীরবে বেত্ৰাঘাত সহা করিলেন। ক্ষণকাল পরেই শিক্ষক মহাশয় বুঝিতে পারিলেন তাহার নিজেরই ভ্ৰম হইয়াছে। তখন নরেন্দ্রের নিকট আপনার ভ্রমস্বীকার করিলেন। ও । তদবধি আর কখনও তঁহাকে সামান্য ছাত্রজ্ঞানে উপেক্ষা করেন। नाइँ । উপরোক্ত দুইটি ঘটনাই স্বামীজি গৃহে গিয়া জননীর নিকট বিবৃত করেন। জননী তাহার বেদনায় সাত্ত্বিনা দান করিয়া বলিয়াছিলেন “বাছ, যদি তোমার ভুল না, হইয়া থাকে। তবে ইহাতে কি আসে যায় ? ফল যাহাঁই হউক না কেন, সৰ্ব্বদা যাহা সত্য বলিয়া মনে করিবে তাহা করিয়া যাইবে । অনেক সময় হয়ত ইহার জন্য অন্যায় ও অগ্ৰীতিকর ফল সংস্থা করিতে হইবে, কিন্তু তথাপি সত্যকে কখনও ত্যাগ করিও না ।” জীবনের শেষ মুহূৰ্ত্ত পৰ্যন্ত নরেন্দ্র মাতার এই উপদেশ পালন করিয়াছিলেন। অনেক সময়ে এজন্য র্তাহাকে নিৰ্য্যাতন সহা করিতে হইয়াছে, অনেক সময় প্রিয় ও নিকটতম বন্ধুদিগের সহিতও মনান্ত হইয়াছে, কিন্তু তথাপি যাহা সত্য বলিয়া বুঝিতেন তাহা হইতে কখনও এক পদ বিচ্যুত হইতেন না। :- ** s' আরও একটি উপদেশ এই সময়ে" তিনি শিখিয়াছিলেন এবং আজীবন তাহা পালন করিয়াছিলেন। সেটি হইতেছে এই :- : “জীবনে মরণে কখনও কৰ্ত্তব্যপরায়ুখ হইও না।” নরেন্ত্রের যখন চতুর্দশবর্ষ বয়স ( ১৮৭৭ খৃঃ) তখন একবা তাহার পিতা মধ্য-প্রদেশের রায়পুর নামক স্থানে বায়ুপরিবর্তনা গমন করেন। এই সময়ে নরেন্দ্র মেট্ৰপলিটানের তৃতীয় শ্রেণী.ে