পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (প্রথম খণ্ড).djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

०२ স্বামী বিবেকানন্দ ७३ श्\* পড়িতেছিলেন। বিশ্বনাথবাবুর রায়পুর গমনের কয়েক মাস পরে তাহার পত্নী ও পুত্ৰগণও তথায় গমন করিলেন। তখন কেবল নাগপুর পর্য্যন্ত রেল লাইন ছিল। এলাহাবাদ ও জব্বলপুর হইয়া৷ ” নাগপুর পর্য্যন্ত ট্রেণে যাওয়া চলিত, কিন্তু তাহার পর গো-শর্কট ব্যতীত সেই দীর্ঘপথ অতিবাহনের অন্য উপায় ছিল না। এক পক্ষেরও অধিক কাল ক্ৰমাগত গো-যানে যাইতে হইত। পথের দুই পার্শ্বে বিচিত্রবৃক্ষলতা-ফল-পুষ্প-শোভিত বিবিধ-বন-বিহঙ্গ-কাকলী-পূরিত নিবিড় অরণ্য ও বিন্ধ্যাচলের গগনস্পৰ্শী শৃঙ্গমালা। ধীর মন্থরগতিতে * চলিতে চলিতে গো-যান সকল ক্ৰমে ক্রমে এমন একস্থানে ‘উপস্থিত হইল যেখানে পৰ্ব্বতশৃঙ্গদ্বয় যেন প্রেমে অগ্রসর হইয়া বনপথকে এককালে স্পর্শ করিয়া রহিয়াছে।” বনস্থলীর অপূৰ্ব্ব শোভা সন্দর্শনে নরেন্দ্রের প্ৰাণে এক অভিনব ভাবের সঞ্চার হইল। পৰ্ব্বত-পৃষ্ঠ-নিবদ্ধ-দৃষ্টি নরেন্দ্রনাথ দেখিলেন—একদিককার পর্বতগাত্রের শিখর হইতে তলদেশ পৰ্যন্ত বিস্তৃত একটি সুবৃহৎ ফাটালের মধ্যে “মক্ষিকাকুলের যুগযুগান্তর পরিশ্রমের নিদর্শনস্বরূপ একখানি প্ৰকাণ্ড, মধুচক্ৰ লন্বিত রুছিয়াছোঁ” তখন বিস্ময়ে মগ্ন হইয়া সেই মক্ষিক-রাজ্যের আদি-অষ্ট্রে" কথা ভাবিতে ভাবিতে র্তাহার মন এমন একটা অনন্তের ভাৱে তুলাইফ্লুগোল যে, কিছুকালের নিমিত্ত বাহ সংজ্ঞার এককালে লোপ হইল।” স্বামিজী। বলিতেন “কতক্ষণ যে ঐ ভাবে গো-ঘানে পড়িয়া ছিল্লাম তাহাত্মরণ - হয় না। যখন পুনরায় চেতনা হইল তখন দেখিলাম, উক্ত স্থান ਲਜ করিয়া বহুদূর আসিয়াছি। গোযানে একাকী ছিলাম বলিয়া ঐক্লথা - কেহ জানিতে পারে নাই।” পূজ্যপাদ স্বামী সারদানন্দ বলেন “প্রবল কল্পনা সহায়ে ধ্যানের রাজ্যে আরূঢ় হইয়া এককালে তন্ময় হইয়া যাওয়া নরেন্দ্রনাথের জীবনে ইহাই বোধ হয় প্রথম।” । :