পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δΣ স্বামী নেমে এল। জিজ্ঞাসা করে ফেলুলুম, “সে দেশে বৃষ্টির মধ্যে বুঝি (दहद्धांहना शांश् मां ?” নরেন বললে, “একেবারে না । গায়ে তীরের মত বেঁধে ।” “আচ্ছা, তুমি সে বৃষ্টি দেখেছ?” পোড়া মুখ দিয়ে “তুমি’ বার হয়ে গেল। ভাবি, জিভটা সঙ্গে সঙ্গে যদি মুখ থেকে খসে পড়ে যেত! সে বললে, “এর পর যদি একজন ‘আপনি বলে ডাকে, সে আর একজনের মারা-মুখ দেখুধে ।” “কোন দিব্যি দিলেন ? আমি ত কিছুতেই ‘তুমি' ব’লক না।” “বেশ, তা হলে মারা-মুখ দেখো।” “দিব্যি কিছুই না। ও আমি মানিনে।” “কেমন মান না, একবার ‘আপনি” বলে প্ৰমাণ করে দাও।” । মনে মনে রাগ ক’রে বলুলুম, পোড়ারমুখী ! মিছে তেজ তোর রইল কোথায় ? মুখ দিয়ে ত কিছুতে বার করতে পায়লিনে ! কিন্তু দুৰ্গতির যদি ঐখানেই সেদিন শেষ হয়ে যেত! ক্ৰমে আকাশের জল থামূল বটে, কিন্তু পৃথিবীর জলে সমস্ত দুনিয়াটা যেন ঘুলিয়ে একাকার করে দিলে। সন্ধ্যা হয়-হয়। ফুল ক’টি আঁচলে বাধা, কাদা-ভরা বাগানের পথে বেরিয়ে পড়লুম। * নরেন বলুলে, “চল, তোমাকে পৌছে দি ” * আমি বলুলুম, “না।” মন যেন ব'লে দিলে, সেটা ভাল না। কিন্তু অদৃষ্টকে ডিঙিয়ে যাবো কি ক’রে ? বাগানের ধারে এসে ভয়ে হতবুদ্ধি হয়ে গেলুম। সমস্ত নালাটা জলে পরিপূর্ণ। পার হই কি করে ? নরেন সঙ্গে আসেনি, কিন্তু সেইখানে দাড়িয়ে দেখছিল। আমাকে চুপ ক’রে দাড়াতে দেখে, অবস্থাটা বুঝে নিতে তার দেৱী হ’ল না। কাছে এসে বললে, “এখন উপায় ?”