পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y স্বামী সে কোন মতে টাল সাম্লে এ দিকে লাফিয়ে পড়ে আত্মরক্ষা কবুলে। কয়েক মুহুৰ্ত্ত সে চুপ ক’রে আমার মুখপানে চেয়ে রইল, তার পরেই তার চোখ দুটো যেন বাকু বক্‌ ক’রে উঠল। বললে, “দেখবে, একবার সত্যিকারের কাণ্ডারী হ’তে পারি কি না ?” আশ্চৰ্য্য হয়ে বলুলুম, “কি ক’রে ?” ” 弱 “এমুনি ক’রে” বলেই সে নত হ’য় আমার দুই হাঁটুর নীচে এক হাত, ঘাড়ের নীচে অন্য হাত দিয়ে চোখের নিমিষে তার বুকের কাছে তুলে নিয়ে সেই গাছটার উপর পা দিয়ে দাড়াল। ভয়ে আমি চোখ বুজে বা হাত দিয়ে তার গলা জড়িয়ে ধষ্ণুলুম। নরেন দ্রুতপদে পার হয়ে এপারে চলে এল। কিন্তু নামাবার আগে—আমার ঠোঁট দু'টােকে একেবারে যেন পুড়িয়ে দিলে। কিন্তু থাক গে! কম ঘেন্নায় কি আর এ দেহের প্রতি-অঙ্গ অহৰ্নিশি গলায় দড়ি দিতে চায়! ! শিউরুতে শিউরুতে বাড়ী চ’লে এলুম, ঠোঁট দু’টো তেমনি জ্বলতেই লাগল বটে, কিন্তু সে জ্বালা লঙ্কামরিচখোরের জ্বলুনির মত যত জ্বালুতে লাগল জ্বালার তৃষ্ণা তত বেড়ে যেতেই লাগল। মা বললেন, “ভ্যাল মেয়ে তুই সদু-এলি কি কোরে ? নালাটা ག་ད་བ་ས་ན་མ་འ་ এলুম। সেই গাছটার ওপর দিয়ে বুঝি হেঁটে এলি ? পড়ে মন্বতে পালিনে!” “না মা, সে পুণ্য থাকলে আর এ গল্প লেখবার দরকার হবে কেন ?” তার পরদিন নরেন, মামার সঙ্গে দেখা কাঁতে এল। আমি সেই-- নেই বসেছিলুম।--তার পানে চাইতে পারলুম না, কিন্তু আমার সর্বাঙ্গে টা দিয়ে উঠল। ইচ্ছে হ’ল ছুটে পালাই, কিন্তু ঘরের পাকা মেঝে চোরা বালির মত আমার পা দুটোকে একটু একটু ক’রে গিলতে লাগল-আমি নড়তেও পারলুম না, মুখ তুলে দেখতেও পায়ুলুম না। নরেনের যে কি অসুখ হ’ল, তা শয়তানই জানে, অনেক দিন পৰ্য্যন্ত