পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী Վ0e বলুলুম, “ওঁর জন্যে কি হচ্ছে মা ?” শাশুড়ী বললেন, “আজ আর সময় কৈ বউ-মা ? তার জন্যে দু’টো আলু উচ্ছে ভাতে দিতে ব’লে দিয়েছি।--তার পর একটু দুখ দেব’খন।” বলুলুম,-“সময় নেই কেন মা ?” শাশুড়ী বিরক্ত হয়ে বললেন, “দেখতেই ত পােচ্ছ বউ-মা। এতগুলো আঁস-রান্না হতেই ত দর্শটা—এগারটা বেজে যাবে। আজ আমার অখিলের (মেজ-দেবর ) ‘দু’চার জন বন্ধু-বান্ধব খাবে, তারা হ’ল সব অপিসাের মানুষ দশটার মধ্যে খাওয়া না হ’লে পিত্তি পড়ে সারাদিন আর খাওয়াই হবে না । এর ওপর আবার নিরিমিষ রান্না করতে গেলে ত রাঁধুনী বঁাচে না। তার প্রাণটাও ত দেখতে হবে বাছা!” • ক্লাগে৷ সৰ্ব্বাঙ্গ রি-রি ক’রে জ্বলতে লাগল। তবু কোনমতে আত্মসংবরণ ক’রে বলুলুম, “শুধু আলু উচ্ছে-ভাতে দিয়ে কি কেউ খেতে পারে মা ? একটুখানি ডাল রাধবারও কি সময় হ’ত না ?” তিনি আমার মুখপানে কট্‌মটু ক’রে চেয়ে বললেন, “তোমার সঙ্গে তাঙ্ক করতে পারিনে বাছা, আমার কাজ আছে।” এতক্ষণ রাগ সামূলেছিলুম, আর পাৰ্বলুম না। ব’লে ফেলুলুম, “কাজ সকলেরি আছে মা ! তিনি তিরিশ টাকার কেরাণী-গিরি করেন না ব’লে কুলি-মজুর। ব’লে তোমরা তুচ্ছ-তাচ্ছিল কবৃতে পারে। কিন্তু আমি ত পারিনো! আমি ওই দিয়ে তঁাকে খেতে দেব না। রাধুনী রাধান্ত न *द्र, अग् िशृष् ि? শাশুড়ী খানিকক্ষণ অবাকু হ’য়ে আমার পানে চেয়ে থেকে বললেন, “তুমি ত কা’ল এলে বউ-মা, এতদিন তার কি ক’রে খাওয়া হ’ত শুনি ?” বলুলুম, “সে খোজে আমার দরকার নেই। কিন্তু কা’ল এলেও আমি কচি খুর্কি নই মা। এখন থেকে সে সব হতে দিতে পাবুব না।” রান্না-ঘরে ঢুকে রাঁধুনীকে বলুলুম, “বড়বাবুর জন্য নিরামিষ ডাল-ডালুনি,