পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89 স্বামী নরেন বললে, “ঘনশ্যামবাবুর হুকুম পাইনি। • যাবার সময় ব’লে গেলেন, আমরা বৈষ্ণব, আমাদের বাড়ী থেকে জীবহত্যা করা নিষেধ।” চক্ষের নিমেষে স্বামী-গৰ্বে আমার বুকখানা ফুলে উঠল। তিনি কোন কৰ্ত্তব্যই ভোলেন না, সেদিকে তঁার একবিন্দু দুর্বলতা নেই! মনে মনে ভাবলুম, এ লোকটা দেখে যাক, আঁামার স্বামী কত বড় ! বলুলুম, “তাহ’লে বাড়ী ফিরে গেলে না কেন?” ” সে লোকটা গরাদের ফঁােক দিয়ে খপ ক’রে সুমামার হাতটা চেপে ধরে বললে, “সন্ধু, টাইফয়েড জ্বরে মধুতে মৰ্বতে বেঁচে উঠে যখন শুনলুম, তুমি পরের হয়েচ, আর আমার নেই, তখন বার বার ক’রে বলুলুম, ভগবান, আমাকে বাচালে কেন ? তোমার কাছে আমি এইটুকু বয়সের মধ্যে এমন কি পাপ করেচি—যার শাস্তি দেবার জন্য আমাকে বাঁচিয়ে । রাখলে।” বলুলুম, “তুমি ভগবান মানো ?” নরেন থতমত খেয়ে বলুতে লাগল, “না-ই-না, মানিনে, কিন্তু সে সময়ে কি জানো-” “থাকৃ গে—তার পরে ?” 零用 নরেন ব’লে উঠল, “উঃ-সে। আমার কি দিন, যেদিন শুনলুম, তুমি আমারই আছে,-শুধু নামেই অন্যের, নইলে আমারই চিরকাল, শুধু (আমারই! আজিও একদিনের জন্যে আর কারও শয্যায় রাত্রি-” “ছি ছি, চুপ করে! কিন্তু কে তোমাকে এ খবর দিলে ? কার কাছে শুনলে।” 蜂 “তোমাদের ষে দাসী তিন চার দিন হ’ল বাড়ী যাবার নাম ক’রে চলে গেছে, যে-” “মুক্ত কি তোমার লোক ছিল ?” ব’লে জোর করে তার হাত ছাড়াতে গেলুম, কিন্তু, এবারেও সে তেমনি সজোরে ধ’রে রাখলে। তার