পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ዓ স্বামী দিচ্চি-বাবুটির আবার ভারি লজ্জার শরীর, আমি থাকৃতে হয় তা খাবেন। না। তা যাচ্চি আমি—” বলে তিনি ফিক্‌ ক’রে একটু মুচুকে হেসে চ’লে গেলেন। এমনি মেয়েমানুষের বিদ্বেষ ! প্ৰতিশোধ নেবার বেলায় শাশুড়ী-বধূৱ মান্য সম্বন্ধের কোন উচুনীচুর ব্যবধানই রাখলেন না। সেইখানেই মেঝের ওপর চোখ বুজে গুয়ে পড়লুম—সৰ্ব্বাঙ্গ ব’য়ে বাবু বাবু ক’রে ঘাম করে সমস্ত মাটিটা ভিজে গেল । শুধু একটা সাত্মনা” ছিল, আজ তিনি আসবেন না,-আজিকার রাত্রিটা অন্ততঃ চুপ ক’রে থাকৃতে পাবো, তার কাছে কৈফিয়ৎ দিতে হবে না । কতবার ভাবলুম উঠে বসি, কাজ কৰ্ম্ম করি।-যেন কিছুই হয় নি-কিন্তু, কিছুতেই পাম্বলুম না, সমস্ত শরীর যেন থক্‌ খৰ্ব কবৃতে্যু লাগলো । সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হয়ে গেল, এ ঘরে কেউ আলো দিতে এলো না । রাত্রি তখন প্ৰায় আটুট, সহসা তার গলা বাইরে থেকে কাণে আসতেই সমস্ত রক্ত-চলাচল যেন একেবারে থেমে গেল। তিনি চাকরকে জিজ্ঞাসা কমৃছিলেন, “বন্ধু, নরেনবাবু হঠাৎ চলে গেলেন কেন রে ?” চাকরের জবাব শোনা গেল না। তখন-নিজেই বলুলেন, “খুব সপ্তব শীকার কম্বুতে বারণ করেছিলুম বলে! তা উপায় কি!” অন্দরে ঢুকুতেই, শাশুড়ী-ঠাকরুণ ডেকে বলুলেন, “একবার আমার ঘরে এসো ত বাবা ” VM 剔 তীর যে এক মুহূৰ্ত্ত দেৱী সইবে না, সে আমি জানতুম। ङिन्नि यन् আমার ঘরে এলেন, আমি কিসের একটা প্ৰচণ্ড নিষ্ঠুর আঘাত প্ৰতীক্ষা করেই যেন সৰ্ব্বাঙ্গ কাঠের মত শক্ত করে পড়ে রইলুম, কিন্তু তিনি একটা কথাও বললেন না। কাপড়-চোপড় ছেড়ে সন্ধ্যা-আহ্নিক করতে বেরিয়ে গেলেন, যেন কিছুই হয়নি-শাশুড়ি তাকে যেন এইমাত্র একটা