পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. স্বামী আসতে থাকে, দণ্ডের ভার ততই গুরুতর, তৃতই অসহ হাঁয়ে উঠতে থাকে। এই ত মানুষের মন! এই তা তার গঠন। তাকেঅ নিশ্চিত সংশয়ে মরিয়া কোরে তোলে। একদিন, দু’দিন ক’রে যখন সাতদিন কেটে গেল, তখন কেবলই মনে হ’তে লাগল, এতই কি দোষ ক’রেচি যে, স্বামী একটা মুখের কথাও জিজ্ঞাসা না কোরে নির্বিচারে দণ্ড দিয়ে যাবেন! কিন্তু তিনি যে সকলের সঙ্গে, মিলে নিঃশব্দে আমাকে পীড়ন করে যাচ্ছেন, এবুদ্ধি যে কোথায় পেয়েছিলুম, এখন তাই শুধু छांति । ^ , সেদিন সকালে শুনলুম, শাশুড়ী বুলচেন, “ফিরে এলি মা মুক্ত। পাঁচদিন বলে কত দিন দেরি কর্লি বলুত বাছা ?” । সে যে কেন ফিরে এসেচে, তা মনে মনে বুঝলুম। নাইতে যাচ্ছি, দেখা হ’ল। মুচুকে হেসে হাতের মধ্যে একটা কাগজ গুজে দিলে। হঠাৎ মনে হ’ল, সে যেন এক টুকরো জলন্ত কয়লা আমার হাতের তেলোয় টিপে ধরেচে। ইচ্ছে হ’ল, তখখুনি কুটি-কুট ক’রে ছিড়ে ফেলে দিই। কিন্তু সে যে নরেনের চিঠি ! না। পড়েই যদি ছিড়ে ফেলুতে পাবৃব, তা হ’লে মেয়েমানুষের মনের মধ্যে বিশ্বের সেই অফুরন্ত চিরন্তন কৌতুহল জমা হয়ে রয়েচে কিসের জন্তে ? নির্জন পুকুরঘাটে জলে পা ছড়িয়ে দিয়ে চিঠি খুলে বসূলুম। অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত একটা কথাও পড়তে পাবুলুম না। চিঠি লাল কালীতে লেখা। 'মনে হ’তে লাগল, তার রাঙা অক্ষরগুলো যেন একপাল কেন্নোর বাচ্চার মত গায়ে গায়ে জড়িয়ে কিল-বিল ক’রে ন’ড়ে ন’ড়ে বেড়াচ্ছে। তার পরৈ পড়লুম-একবার-দু’বার-তিনবার পড়লুম। তার পরে টুকরো টুকুরো ক’রে ছিড়ে জলে ভাসিয়ে দিয়ে স্নান ক’রে ঘরে ফিরে এলুম। কি ছিল তাতে ? সংসারে যা সব চেয়ে বড় অপরাধ, তাই cण द्दिन् |