পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G:So স্বামী ওরে মহাপাতকি! এত বড় নিষ্ঠুর মহাপাপ তোর চেয়ে বেশি সংসারে কেউ কি কোন দিন ক’রেছে ? ইচ্ছে হ’ল এই লোহার গারান্দেতে মাথাটা ছেচে ফেলে সমস্ত ভাবনা-চিন্তার এইখানেই শেষ ক’রে দিই! বােধ করি অনেকক্ষণ পৰ্যন্ত কোন দিকেই চােখ ছিল না, হঠাৎ কড়ানাড়ার শব্দে চমকে উঠে দেখি, সদর দরজায় দাঁড়িয়ে নরেন আর মুক্ত। তাড়াতাড়ি চােখে মুছে ফেলে নীচের বিছানায় উঠে এসে বসূলুম। সেই দিন থেকে নরেন আর আসেনি। আমার সমস্ত মন যে কোথায় পড়ে আছে, সে নিঃসংশয়ে বুঝতে পেরেছিল বলে ভয়ে এ দিক্‌ মাড়াত না । তার নিশ্চয় ধারণা জন্মেছিল, বিপদে পড়লে স্বামীর বিরুদ্ধে আমি তার কোন উপকারেই লাগিব না। তাই তার ভয়ও যেমন হয়েছিল, রাগও তেমনি হয়েছিল। ঘরে ঢুকে আমার দিকে । চেয়েই দু’জনে একসঙ্গে চমকে উঠল, নরেন বললে,- “তোমার এত অসুখ করেছিল তা আমাকে খবর দাওনি কেন ? তোমার বামুণটা ত আমার বাসা চেনে ?” বিী দালানে বঁট দিচ্ছিল, সে খপি কোরে বলে বসূল, “অসুখ। কবৃবে কেন ? শুধু জল খেয়ে থাকুলে মানুষ রোগ হবে না বাৰু? দুটি বেলা দেখছি ভাতের থালা যেমন বাড়া হয়, তেমনি পড়ে থাকে। অৰ্দ্ধেক দিন ত হাতও দেন না।” শুনে দু’জনেই স্তব্ধ হ’য়ে আমার পানে চেয়ে দাড়িয়ে রইল । সন্ধ্যার পর নরেন বাসায় চলে গেলে, মুক্তিকে বুকে টেনে নিয়ে বনুলুম, “কেমন আছেন তিনি ?” 臀 মুক্ত কেঁদে ফেলুলে। বললে,-“অদৃষ্ট ছাড়া পথ নেই। বউ-মা, নইলে এমন সোণার সোয়ামীর ঘর কন্বতে পেলে না ?” “তুই তা ঘর কবৃতে দিলিনে মুক্ত!” মুক্ত চোক মুছে বললে,-“মনে হ’লে বুকের ভেতরটায় যে,াক কবৃতে