পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

q8 স্বাস্থ্যবিজ্ঞান । ও বিহারে মহিষ দুগ্ধেরাহ ব্যবহার।গাধা ও ছাগলের দুগ্ধ শিশুর ও রোগীর পথ্য। বিলাতী গরু প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ পইণ্ট বা ১২।১৫ সেরা দুগ্ধ দান করে। ভারতবর্ষের গরু গড়ে ২ সের (কিংএর মতে) এবং বাঙ্গালী গরু গড়ে /২৮, দুগ্ধ দেয়। দুগ্ধের পরিমাণ ও উপাদান, (১) গাভীর জাতি, (২) বয়স ও (৩) গৰ্ভ সংখ্যা, (৪) গাভী বৎসের বয়স (৫) গাভীর আহার, (৬) দোহনের সময় এবং (৭) স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। (১) হিন্দুস্থানী গরু বঙ্গীয় গরু অপেক্ষা অধিক দুগ্ধ দান করে। সুইডেন দেশীয় দুগ্ধে অধিক সার থাকে। কেহ কেহ বলেন কৃষ্ণুবৰ্ণ খৰ্ব্বকায় গরুর দুগ্ধে সার অধিক, এবং দীর্ঘ শৃঙ্গী গাভীর দুন্ধে ছানা অধিক । (২) অল্প বয়স্ক কিম্বা বৃদ্ধ গাভী অপেক্ষা মধ্য বয়স্ক গাভীর দুগ্ধ ভাল। (৩) গৰ্ভ সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দুগ্ধের পরিমাণ হ্রাস হয়। (৪) প্রসবের অব্যবহিত পরে দুগ্ধে অধিক কোলাষ্ট্রম (colustrum) ও ফ্যাট থাকে। (৫) মূলা বীট প্রভৃতি আহারে দুগ্ধের চিনি বৃদ্ধি পায় ; টাটকা ঘাস প্রভৃতি আহারে অধিক মাখন হয় । (৬) বৈকালে যে দুগ্ধ দোহন করা হইয়া থাকে, তাহাতে শতকরা ১ষ্ট্র অধিক মাখন ও ই অধিক পনির থাকে। শেষ দোহান দুগ্ধে মাখন অধিক । (৭) রুগ্ন গাভীর দুগ্ধ শীঘ্ৰ বিকৃত হয় ; ইহাতে কলািস্ট্রম, পূৰ্য্য, রক্ত, এপিথিলিয়ম প্রভৃতি থাকিতে পারে। যক্ষ্মাগ্ৰস্ত গাভীর দুগ্ধের পরিমাণ প্রথমতঃ বৃদ্ধি হয়। গো দুগ্ধের সারা পার্কসের মতে শতকরা ১৩.২ । এ দেশীয় দুগ্ধের সার ডাক্তার সিমসনের মতে ১৪.২৩৭, ডাক্তার ম্যাকনামারার মতে ১৩,০৭ এবং আনালিষ্ট ডাক্তার যোগীন্দ্ৰনাথ দত্তের মতে ১২.৮৪ । বিগত কলিকাতা মেডিকেল কঙ্গে, সে যোগীন্দ্র বাবু এই প্রস্তাব করিয়াছিলেন যে, যে দুগ্ধে শীতকরা ১১ই ভাগের নূ্যন সার থাকে, তাহা ভেজাল বলিয়া ধরা উচিত। বাঙ্গালী গো দুগ্ধে বিলাতী গো দুগ্ধ অপেক্ষা কেজিন অধিক কিন্তু মাখন ও চিনি অল্প । দুগ্ধে সাধারণতঃ জল ভেজাল ( কলিকাতায় শতকরা ২০ হইতে ৬০ ) থাকে। লঘুত্ব হ্রাস করিবার জন্য বাতাসা, খড়ি, আরারুট, পানিফলের পালো প্রভূতি মিশ্রিত হয়। মাখন তোলা দুগ্ধও অনেক সময়ে বিক্ৰী ত হইয়া থাকে । Cーリ l