পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলোকের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সম্বন্ধ । o S বায়ু সঞ্চালিত করিতে হইবে। শয়নাগারে প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ৮০০ ঘন ফুট, এবং দ্বাদশ বর্ষের নিম্ন বয়স্ক বালক বালিকার জন্য ইহার অৰ্দ্ধ পরিমিত স্থান নির্দেশ করা আবশ্যক । (৩) আলোকের প্রয়োজন কেবল দৃষ্টির জন্য নহে ; ইহার সঙ্গে স্বাস্থ্যেরও ঘনিষ্ট সম্বন্ধ রহিয়াছে। যে সমুদায় মাইক্রোব পচন ক্রিয়ার হেতু, সুৰ্য্যালোকে তাহদের বংশ বৃদ্ধি হয় না । অন্ধকার স্থানে বৃক্ষ বৰ্দ্ধিত হয় না। আলোকবিহীন আফিসে বা দোকানে যাহারা সৰ্ব্বদা কৰ্ম্ম করে তাহদের বর্ণ প্রায় ফ্যাকাসে হয়। অতএব কি শয়নাগার, কি কি পায়খানা, সর্বত্র আলো সমাগমের ব্যবস্থা করিতে হইবে। রাত্রিকালে প্রজালিত আলো যাহাতে দৃষ্টি ও স্বাস্থ্যের পক্ষে ব্যাঘ্যাতজনক না হয় তৎপ্রতি দৃষ্টি রাখা কৰ্ত্তব্য। ক্ষীণ আলোকে লেখা পড়া করিলে চক্ষু সৰ্ব্বদা প্রসারিত করিতে হয়, তন্নিবন্ধন লেন্স দীর্ঘীকৃত হইয়া পড়ে, এবং শর্ট সাইট (Short sight) জন্মে। আলো পরিষ্কার হইবে অথচ চক্ষু ও কপালে ইহার উত্তাপ লাগিবে না, এরূপ ব্যবস্থা চাই। অধ্যয়নাগারে উজ্জ্বল আলোকবিশিষ্ট দোলায়মান কেরোসিন ল্যাম্প সুবিধাজনক। গ্যাসের আলো হইতে অনেক পরিমাণে কাবান ডায়কসাইড, সলফার ডায়কসাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড, য়্যামোনিয়া ও য়্যামোনিয়ম সালফাইড নিৰ্গত হয়। গ্যাসাধারের দোষে যদি গ্যাস ভালরূপ দগ্ধ না হয় তাহা হইলে কাবান মনক্সাইড বিয উৎপন্ন হয়। একটী সাধারণ গ্যাস প্রদীপ ১০ জন পূৰ্ণবয়স্ক মানুষ্যের সমান। সুতরাং শয়নাগারে কিম্বা অধ্যয়নাগারে কোল গ্যাসের আলো প্ৰজ্বালন নিষিদ্ধ। বৈদ্যুতিক আলো সৰ্ব্বাপেক্ষা স্বাস্থ্যকর কিন্তু ভুলভ। সাধারণ “ডিবে” কেরোসিন প্ৰদীপ অত্যন্ত অনিষ্টকর। ইহার ধূমা নাসারন্ধ, ও ফুসফুসে প্রবেশ করে। রন্ধনশালা শয়নাগার প্রভূতি স্থানে এই ল্যাম্প ব্যবহার না করিয়া রোঢ়ীর তৈলের প্রদীপ ব্যবহার করা সৰ্ব্বথা কৰ্ত্তব্য । যাহারা নিকটে রিডিং ল্যাম্প রাখিয়া লেখা পড়া করেন। র্তাহাঁদের দুইটী বিষয়ে সাবধান হওয়া উচিত, (১) আলোর তেজ হইতে চক্ষুকে রক্ষা করিবার জন্য চিমনিতে একটা আবরণ পরাইবেন ; (২) আলোর উত্তাপ নিবারণের জন্য আলো এবং চক্ষুর মধ্যস্থানে একটা ফ'টকিরি-জলপূরিত কঁাচের পাত্ৰ ( Jar ) রাখিবেন । বামদিকে আলো ও জানালা