পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যায়াম সাধনের নিয়ম | Σ. Σ Σ (ঘ) অতিরিক্ত কার্বন ডায়কসাইড দ্বারা যাহাতে বায়ু দূষিত না হয়, এইজন্য মুক্ত কিম্বা বায়ু-সঞ্চালিত স্থানে ব্যায়াম করিবে । ২। হার্ট সংক্রান্ত-ব্যায়াম আরম্ভে হাটের প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখিতে হইবে। নাড়ীর গতি মিনিটে ১২০-১৪০ হইলে, কিম্বা অনিয়মিত হইলে, প্রথমতঃ ব্যায়াম স্থগিত করিয়া তৎপর ক্রমশঃ অল্পে অল্পে ব্যায়াম অভ্যাস করিতে হইবে। ৩৷ চৰ্ম্ম সংক্রান্ত-(ক) চৰ্ম্ম পরিষ্কার রাখিতে বিশেষ যত্ন করিতে হইবে। (খ) ব্যায়ামকালে সামান্যভাবে অঙ্গ আবৃত করিলে চলে। কিন্তু ব্যায়ামান্তে সূক্ষ্ম ফ্রানালের ন্যায় সর্দিনিবারক বস্ত্ৰ ব্যবহার করা উচিত। (গ) সময়ে সময়ে প্রয়োজনমত অল্প জলপান করিবে । অতিরিক্ত ঘৰ্ম্ম নিবন্ধন দেহে জলের অভাব হয়। এই অভাব পূরণ করা আবশ্যক। প্রচলিত সংস্কার বশতঃ ব্যায়ামকালে জল স্পর্শ করিতে দেওয়া হয় না ; এই জন্য ব্যায়ামান্তে অতিরিক্ত পিপাসা বশতঃ এক কালে অধিক জল পান করা হয়, এবং ষ্টমাকে ও রক্তে অতিরিক্ত শীতল জল প্ৰবেশ করে। ৪ । মাংসপেশী সংক্রান্ত-সমুদয় অঙ্গের সমভাবে চালনা করিতে হইবে। ৫ । আহার সংক্রান্ত-প্রোটীড ফ্যাট, ও ফসফেট ক্লোরাইড প্রভৃতি সন্টের পরিমাণ বৃদ্ধি করিতে হইবে। তৃতীয় পরিচ্ছেদ । ব্যায়ামের পরিমাণ । ফুট টন হিসাবে পরিশ্রমের পরিমাণ নিৰ্দ্ধারিত হয়। একটা ৫০ টন ভারি বস্তু ১ ফুট উদ্ধে তুলিতে যে পরিমাণ পরিশ্রমের প্রয়োজন, তাহাকে ৫০ ফুট-টন পরিশ্রম বলা যায়।