পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিক্ষার অনিয়মজনিত রোগ । YS ব্যবসায়ীকে মৃত্যুর শেষ মুহুৰ্ত্ত পৰ্যন্ত “তমলুকের মেয়াদ অতীত হইয়াছে, কল্যই নালিশ করিতে হইবে।” এই কথা পুনঃ পুনঃ বলিতে শুনিয়াছি। (৭) শিক্ষার উৎপীড়নবশতঃ মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালনের অতিশয় বৃদ্ধি এবং মস্তিষ্কের কাঞ্জেশ্চন প্রভৃতি নানা প্রকার রোগ হয়। শিক্ষার অতিমাত্রা ডিসপেপ শিয়া ও এনিমিয়া উৎপাদন করে। কোন কোন স্কুলের শিক্ষকেরা বলেন। তঁহাদের অনেক ছাত্ৰ অসুস্থতা নিবন্ধন পাঠে অগ্রসর হইতেছে না। একটু অনুসন্ধান করিলেই জানা যায় যে, অপরাধ ছাত্রদের দেহের নহে, কিন্তু । শিক্ষকদের শিক্ষা প্ৰণালীর। অত্যািল্ল সময়ে অত্যধিক বিদ্যা গলাঃধকরণ করাইতে গিয়া শিক্ষকেরা ছাত্রদের মানসিক ও শারীরিক ডিসপেপূশিয়া উৎপাদন করেন । কেহ কেহু অনুসন্ধান করিয়া দেখিয়াছেন ৪৫ মিনিটের অধিকক্ষণ ধরিয়া অঙ্ক কষিলে মস্তিষ্ক ক্রমশঃ দুর্বল ও ভুল ক্রমশঃ অধিক হইতে থাকে । (৮) দিবাভাগের সঙ্গে চিন্তাশক্তির ঘনিষ্ট সম্বন্ধ রহিয়াছে । দিবা ও রাত্রির ভিন্ন ভিন্ন অংশে যেমন দেহতাপ, নিশ্বাস প্রশ্বাস, রক্ত সঞ্চালন ও সি কৃষণের (secretion) ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা হয়, তদ্রুপ মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের ও চিন্তাশক্তিরও প্ৰভেদ হইয়া থাকে। দিবার প্রথম ভাগে ( forenoon ) মনোবৃত্তি সতেজ থাকে, এবং অপরাহ হইতে ক্ৰমশঃ হীনশক্তি হইয়া রাত্রি দ্বিপ্ৰহরের পূর্বে অতিশয় ক্ষীণ হয়। মিলেঙ্কোলিয়া প্রভৃতি মস্তিষ্ক-রোগগ্ৰস্ত, ব্যক্তিদের প্রায় পূৰ্ব্বাহ্নেই রোগ বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হয়। আমাদের দেশে প্রবাদ আছে, প্রাতে সরস্বতীর আবির্ভাব হয়। অতএব প্ৰাতেই কঠিন পাঠ অভ্যাস করা উচিত। রাত্রে অধিক অধ্যয়ন বশতঃ নার্ভাসনেস ( nervousness), ffift (debility) are affigi (sleeplessness) জন্মে। (৯) তিথির সঙ্গে মানসিক শক্তির হ্রাস বৃদ্ধির সম্বন্ধ রহিয়াছে। এ বিষয়ে ডাক্তার ব্ৰাউন কোন প্ৰমাণ প্ৰদৰ্শন করেন নাই । বিশেষ বিশেষ তিথিতে কোন কোন জীবের শারীরিক বিকাশ ও শারীরিক ক্রিয়ার হ্রাস বৃদ্ধি হয়। তাই ব্ৰাউন বলেন, আমাদের মস্তিষ্ক ও মস্তিষ্কের ক্রিয়ার সঙ্গে তিথির যোগ থাকিবার সম্ভাবনা অধিক । আমাদের দেশে তিথি বিশেষে পাঠ বর্জনের বিধি আছে। (১০) ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানসিক বৃত্তির পরিবর্তন হয়। বসন্তকালে হিস্টরিয়া, এপিলেপিসি প্রভৃতি