পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 সাধারণ স্বাস্থ্যবিজ্ঞান । ইহার ৩ দিবস পরে সেকেণ্ড ভ্যাকসীন, ইহার ৩ দিবস পর সেকেণ্ড ভ্যাক্সীন, এবং ইহার তিন দিবস পরে একজন্টেড ভায়রাস ইঞ্জেক্ট করেন। এত সতেজ কলেরা বিষেও ইহাদের মৃত্যু হয় নাই। অপর দলের পেরিটোনিয়মে ফাষ্ট ও সেকেণ্ড ভ্যাকসীন ইঞ্জেক্ট না করিয়া একেবারে একজন্টেড ভায়রাস ইঞ্জেক্ট করেন ; তাহাতে ইহাদের মৃত্যু হয়। যাচাদের টীকা দেওয়া হয় নাই, তাহদের অপেক্ষা ইনকিউলেটেড গিনিপিগদিগকে পাঁচগুণ তেজ বিশিষ্ট বিষ প্রয়োগ কুরা হইয়াছিল, তথাচ তাহাদের মৃত্যু হয় নাই । এইরূপে খরগোশ, পারাবত প্রভৃতিও টীকা প্রাপ্ত হইলে নির্বিঘ্নে কলেরা বিষ গ্ৰহণ করিতে পারে। হাফ কিনি মানবজাতির হিতাৰ্থ নিজদেহে এই বিষ প্রয়োগ করিয়া টীকার ফল পরীক্ষা করিয়াছেন । এইরূপে তিনি ৬০ ব্যক্তির দেহে এই কলেরা বিষ প্রয়োগ করিয়া টীকার উপকারিতা প্রমাণিত করিয়াছেন । ১৮৯৩ সালে হাফকিন ভারতবর্ষে আগমন করিয়া টীকা দিতে আরম্ভ করেন। অদ্য পৰ্য্যন্ত ৬০,০০০ টীকা দেওয়া হইয়াছে; তন্মধ্যে একটী স্থলেও টীকার কোন প্রকার কুফল লক্ষিত হয় নাই। টীকার ফলাফল সম্বন্ধে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হইবার এখনও সময় উপস্থিত হয় নাই। দ্বিতীয় টীকার পর পাঁচ দিন অতীত না হইলে টাকার সম্পূর্ণ ফল হয় না । গয়া জেলে ইহার পরীক্ষণ হইয়াছিল ; ৩৯৩ জন কয়েদীর মধ্যে ২০১ জন। ৫ দিন পূর্বে টীকা প্রাপ্ত হইয়াছিল, অবশিষ্ট ১৯২ জনের টীকা হয় নাই। কলেরা আবিভূতি হইয়া টীকাবিহীন ব্যক্তিদের মধ্যে ৩ জনকে আক্রমণ করে এবং ১ জনের প্রাণ হরণ করে ; টীকা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কেহই আক্রান্ত হয় নাই। কলিকাতায় যে সমুদয় স্থানে টীকা দেওয়া হইয়াছিল তথায় কলেরা আবির্ভূত হইলে দেখা গেল, টীকাবিহীন ২৬৩ ব্যক্তির মধ্যে ৩৮ জন আক্রান্ত হয়, তন্মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়, কিন্তু দ্বিতীয়বার টীকা প্ৰাপ্ত ১৩৪ জনের মধ্যে কেবলমাত্র একজনের রোগ ও মৃত্যু হয় ; রোগের ৩০৯ দিন বা ১০ মাস পূর্বে তাহার টাকা হইয়াছিল। অনেক চা-বাগানে টীকার উপকারিতা প্ৰতিপন্ন হইয়াছে। এই সমুদয় ঘটনা প্রত্যক্ষ করিয়া গবৰ্ণমেণ্ট য়্যান্টি-কলেরা ইনকিউলেশনে আস্থা প্ৰকাশ করিয়াছেন। অনেকেই মনে করেন বিলাতের ক্লাইন এবং এই দেশের কনিংহাম