পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যবিজ্ঞান । مواد কলের । সৰ্ব্বপ্রথমে জেমসন ১৮২০ সালে বঙ্গদেশ বিবরণীতে প্রকাশ করেন যে দুষিত জল দ্বারা কলেরা ব্যাপ্ত হইয়াছে। ১৮৪৯ এবং ১৮৫৫ সালে ডাক্তার স্নো বিলাতের ঘটনাবলী অবলম্বন পূর্বক এই প্রমাণ করেন যে পানীয় জল হইতে কলেরার উৎপত্তি হইয়া থাকে। ১৮৬৫ সালের টাইন নদীর দুষিত জলপান বশতঃ ঐ নদীর তীরবত্তী নিউক্যাসল নগরে ওলাউঠার প্রাদুভােব হইয়াছিল। পার বৎসরে লণ্ডনের পূর্ব ভাগে এই রোগের প্রকোপ হয়। অনুসন্ধানে প্রকাশ পায় তথাকার পানীয় জল দূষিত । পেটেনকফার প্রভৃতি জৰ্ম্মণ পণ্ডিত এবং এই দেশীয় কনিংহাম ও লুইস জলের ওলাউঠা-উৎপাদন শক্তি অস্বীকার করেন । কিন্তু ভারতবর্ষে এ বিষয়ে ভুরি ভুরি প্রমাণ পাওয়া যায়। কলিকাতার সুপ্ৰসিদ্ধ স্বাস্থ্যরক্ষক ডাক্তার সিমসন বলেন, পৃথিবীর নানা স্থানে অনুসন্ধান করিয়া তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন যে, সাধারণতঃ জল হইতেই ওলাউঠার বীজ শরীরে প্রবেশ করে এবং ঐ বীজ জলেতেই বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। যে পুষ্করিণীর চতুষ্পার্শ্বস্থ বস্তিতে ওলাউঠার প্রাদুভােব হয়, তাহার জলে ওলাউঠার বীজ পাওয়া যায়। ডাক্তার সিমসন সম্প্রতি ১০০০ সহস্ৰ পুষ্করিণীর জল পরীক্ষা করিয়া ওলাউঠা বিষদুষিত অনেক পুষ্করিণীর জলে “কমা” ব্যাসিলাস প্রাপ্ত হইয়াছেন। কলিকাতা গড়পারে পরস্পরের সন্নিকটবৰ্ত্তী তিনটী পুষ্করিণী ছিল। আমি দুইটী পুষ্করিণীর জল সংগ্ৰহ করিয়াছিলাম, এবং যে দুইটী পুষ্করিণীর জলে মলদুষিত বস্ত্ৰাদি প্রক্ষালিত হইয়াছিল, কেবল তাহাতেই “কমা” ব্যাসিলাস ১৪ দিন পৰ্য্যন্ত দেখিতে পাইয়াছিলাম। সেই জল ব্যবহার রহিত করিবার পর ওলাউঠা প্রশমিত হইয়াছিল। পুঠি বাগান কলিকাতার একটা বৃহৎ পল্লী। মধ্যস্থানে একটী বৃহৎ পুষ্করিণী । পুষ্করিণীর চতুর্দিকে সারি সারি খোলার ঘর। কলের জলের সম্পূর্ণ অভাব। এই পল্লীনিবাসী একজন ছাত্র বিক্রেতা হাড়োয়ার মেলায় ছত্র বিক্রয় করিতে গিয়াছিল। তথায় লক্ষাধিক মুসলমান সমবেত হইয়া