পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জলজনিত ওলাউঠা । Σδο ছিল ; তন্মধ্যে বহুসংখ্যক যাত্রী ওলাউঠায় আক্রান্ত হয়। তথাকার একমাত্ৰ পানীয় নদীজল দূষিত হইল এবং ইহার ব্যবহার বশতঃ রোগ ক্রমশঃ ব্যাপ্ত হইয়া পড়িল । ছত্র বিক্রেতা ভয়ে পলায়ন করিয়া পথিমধ্যে ওলাউঠায় আক্ৰান্ত হয় এবং রুগ্ন অবস্থায় পুঠিী বাগানে প্রত্যাগমন করে । আগমনের পরদিন তাহার মৃত্যু হইল। তাহার মল দূষিত বস্ত্ৰাদি পুষ্করিণীজলে প্রক্ষালিত হয় । সেই জলের ব্যবহার বশতঃ পুষ্করিণীর তীরবাসী দশ ব্যক্তি ওলাউঠায় আক্রান্ত হইয়াছিল। স্বাস্থ্যবিভাগীয় কৰ্ম্মচারিগণ কর্তৃক পুষ্করিণী জলের ব্যবহার নিবারিত এবং মালবামন দুষিত স্থানসমূহ ডিসাইনফেক্‌টেন্ট দ্বারা শোধিত হইবার পর ওলাউঠা দুৱীভূত হইল। মিউনিসিপালিটী কর্তৃক ঐ পুষ্করিণী ভরাট হইবার পর সেই পল্লিতে কখনও ওলাউঠার প্রাদুর্ভাব হয় নাই । বিবিবাগান কলিকাতা মিউনিসিপালিটীর একটী নবাধিকৃত পল্লী। ঐ পল্লিনিবাসী একজন নাগরদোলা ব্যবসায়ী খড়দহ রাসমেলায় গমন করে এবং তথায় ওলাউঠা-আক্রান্ত হইয়া গৃহে প্রত্যাগমন করে। তাহার মল-সংযুক্ত বস্ত্ৰাদি বস্তিপুষ্করিণীতে প্রক্ষালিত হয়। অতি অল্প সময়ের মধ্যে পুষ্করিণীতীরবাসী সাত ব্যক্তি ওলাউঠা-আক্রান্ত হইল। সৰ্ব্বত্র ঐ জলের ব্যবহার নিবারিত এবং ডিসাইনফোকটেণ্ট ব্যবহৃত হইবার পর ওলাউঠা ঐ পল্লী পরিাত্যাগ করে । পুষ্করিণী ভরাট হইবার পর হইতে তথায় ওলাউঠার প্রকোপ व्यक्डि श्न नांश् । কৃষ্ণবাগান কলিকাতার একটী প্ৰধান বস্তি। একদা ঐ পল্লীতে একজন ওলাউঠা রোগী চিৎপুর হইতে আনীত হয় এবং তাহার মল-লিপ্ত বস্ত্ৰাদি বস্তিপুষ্করিণীতে ধৌত হয়। অতি অল্প দিনের মধ্যে পুষ্করিণীর নিকটবৰ্ত্তী কুটারাবলিতে ১৬ ব্যক্তি ওলাউঠা-আক্রান্ত হয় এবং তন্মধ্যে ৯ জনের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্যবিভাগের উদ্যোগে অল্পকাল মধ্যে পুষ্করিণী দমকল দ্বারা জলশূন্য করিয়া ভরাট করা হইয়াছিল। তদবধি কৃষ্ণবাগানবাসিগণ ওলাউঠাভয় শূন্য হইয়াছে। হবিগঞ্জ শ্ৰীহট্ট জেলার অন্তঃপাতী একটি প্রধান মহকুমা। ১৮৮৬ সালে তথায় একটা মেলা হয়। মেলাস্থানে ওলাউঠার প্রাদুর্ভাব হইবামাত্ৰ ভয়ে 8