পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের চিন্তা বড় পঙ্গু, তার শক্তি নেই। সেখানে পৌছায়। নক্ষত্র লোকে যদি কোনো দুঃসাহসিক মানুষ যেতে চায়। তবে রেল কি মোটর বাহন নির্দিষ্ট করলে তাকে চলবেন । তাকে যোগাড় করতে হবে। আলোকের রথ-একমাত্র আলোকের গতি তাকে আশ্ৰয় করতে হবে সেখানে পৌছাতে হ’লে । এমন একটা জিনিষ আছে, যা মনোজগতে আলোর রথের কাজ করে। মনোজগতের সুদুরের বাহন। এই জিনিষটা Lic, সঙ্গত। শান্ত সুষ্ঠ, ক্রমবদ্ধ, কুঁসিয়ার চিন্তা পদ্ধতি অবলম্বনে সেখানে পৌছাতে তুমি লীলাসম্বরণ ক’রে ফেলবে। তবুও হয়তো পৌছাতে পারবে না। সে জিনিষটা কি তা বোঝানো মুস্কিল, শুধু অনুভব ক’রে অস্বাদ ক’রবার জিনিষ সেটা । Bergson siç<së Institution ব’লছেন বোধ হয়- আমি ঠিক জানি না । আমাদের এই দেহটা যেমন এই পৃথিবীর, মৃত্যুটাও তেমনি এই পৃথিবীর । পৃথিবীর দেহটার সম্বন্ধ ঠিক জন্মের মতনই। মৃত্যুটা শাশ্বত জিনিষ নয়, পৃথিবীর সঙ্গেই তার সম্বন্ধ শেষ হ’য়ে গেল। কিন্তু এদের পারে—এই অনিত্য মৃত্যুর পারে, পৃথিবীর পারে এক অনন্ত-জীবন-পৃথিবীর এই মৃতু্য সৃষ্ট না হ’য়ে অক্ষঃ অপরাজিত দাড়িয়ে আছে, তা তোমার আমার সকলের। যুগে যুগে চিরদিন এই জ্ঞানটাই শুধু মানুষের দরকার।--আর কিছু না । দেশে আজ অন্ন নাই, বস্ত্ৰ নাই, জল নাই-যারা সে সব দেবার ভার নেবেন বা নিয়েছেন, অত্যন্ত মহৎ তঁাদের উদ্দেশ্য সন্দেহ নাই। তারা তা দিন। কিন্তু তার চেয়েও বড় দান হবে। এই জ্ঞানটা-শুধু এই অনন্ত অধিকারের বার্তা মানুষের প্রাণে পৌছিয়ে দেওয়া । দেহের খাদ্য অনেকেই যোগাতে পারে-আত্মার খাদ্য ক’জন যোগায় ? শুধু এই জ্ঞানটা মানুষ মনে প্ৰাণে যখন বরণ ক’রে নেবে, তার দৈন্য দূর হবে, হীনতা কেটে যাবে, সঙ্কীর্ণত ধুয়ে মুছে পবিত্র হবে। কালবৈশাখী শীকরসিক্ত স্নিগ্ধ আশীৰ্বাদের মত এই অনন্স অধিকারের বাৰ্ত্ত। মানুষের বুভূক্ষু, অজ্ঞানতা দগ্ধ মনে অমৃতের বর্ষণ করুক। দর্ণ অজানা স্বপ্নজগতের কোণ থেকে বয়ে আসুক । মনোজগৎ মানুষের অপূৰ্ব্ব সম্পদ। একে অবহেলা না ক’রে দুঃসাহসিক আবিষ্কারকের উৎসাহ নিয়ে এক অজানা দেশসমূহে যদি অভিযান করতে বার হওয়া যায়, বিশ্বে বড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা হবে । সন্ধ্যা হ’য়ে গিয়েছে। আমি বেশ দেখতে পাচ্ছি। অনেকদূরের আমার ex)