পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐ বিশ্বজগৎ, সংসারের কোলাহল, উৰ্দের বড় জগৎটা ঐ অন্ধকার শূন্যে আত্মপ্ৰকাশ করছে। ঐ যে গতি, ও বিশ্বের গতির প্রতীক। শুধু প্রতীক নয় ও তারই গতি । স্বয়ং সঞ্চরমান, ভ্ৰাম্যমাণ, ঘূর্ণমান বিশ্ববস্তুর অংশ। আপনা। আপনি নিয়শে চলেছে। ওর দিকে চাইলে নিউটনের, কেপলারের, হেলম হেলন্টুজের, শঙ্করের, বরাহমিহিরের জগৎ মনে পড়ে-সে। জগৎ ডাক্তার শরৎ সরকারের জগৎ নয়, গভর্ণমেণ্ট প্লিন্ডার অমুকের জগৎ নয়, অমুক বড় মানুষ পেটে; মতাজনের জগৎ নয়, অমুক ষ্টেটের অমুক ম্যানেজারের জগৎ নয়। কত পৃথিবীর, বিশ্বের ভাঙ্গ টুকরো ও ! কত ইতিহাস ছিল তাতে ! ক’ত জীব কত সভ্যতা কত উত্থানপতন কি বিরাট রহস্য ওর আড়ালে প্রচ্ছন্ন রয়েছে ! কি অনন্ত ধ্যানের চিন্তার সৌন্দশ্যম্বপ্নের ধারণার জ্ঞানের বিসয ওই পাথরের ধাতুর টুকরো গুলে। তা কে ভেবে দ্যাগে ? স্মাবার আকাশে চাও, Sorius-এর পাশের, কত গ্ৰহনক্ষত্রের পাশে বা অদৃশ্য জগৎগুলোর কথা ভাবে ! অন্ধকারে গ! লুকিয়ে কোথায্য ওরা অনস্থ পথে ঘুরছে ? কি জীববাস তাতে ? তাতে এরকম কত জীবের উত্থান প তন ? ক’ত দিনের ইতিহাস ? তবে এই পরিবর্তনের মধ্যে, এই তাসের ঘরের মধ্যে, এই মেঘের গ্ৰাসাদ দুর্গের মধ্যে, আসল জিনিষটি কি ? জনসেবা-এ জীবনের নয় { যুগযুগের জনসেবা। বিশ্বকে উপলব্ধি ক’রে, সত্যকে উপলব্ধি করে, শাশ্ব ৩ সৌন্দশকে উপলব্ধি ক’রে, ধ্যানে, কল্পনায়, ছবিতে তাকে একে যাওয়া । নয়ত এমন কঁাদিয়ে য়াওয়া যে মানুষ চিরকাল কঁদবে, এমন হাসিযে যে মানুষ চিরক{ল হাসবে, এমন ভাবিয়ে যাওয়া যে মানুষ চিরকাল ভাববে, এমন দেখিয়ে যাওয়া যে তারা চিরদিন দেখবো । শিক্ষকতা নয়, জনসেবা-দীন নিরহস্কার অথচ দৃঢ় পবিত্র হয়ে অবহিত মনে এই অতি মহৎ সার্থক সেবা । বৎসরে বৎসরে এরকম বসন্তু কত আসে- ক’ত নতুন মুখের অংশ, কত নতুন স্নেহ প্রেম –মােথার উপরে নিঃসীম নীল শূন্য অনন্থের প্রতীক - এই নীল আকাশের তলে বৎসরে বৎসরে এরকম কচি পাতা! ওঠা গাছপালা, বনফুলের ঝোপের নীচে বৈঁচি ষাড়া বঁাশনের আড়ালে যে শান্ত জীবনগতি বহুদিন ধরে ছান্তিমবনের আমবনের ছায়ায় ছায়ায় বেয়ে ܐܡܐ