পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তার আবহাওয়াটাকে অনেক দিন পরে আবার ফিরে পাওয়া যাবে । বন্ড डॉभब । । ৷৷ ২৮শে সেপ্টেম্বর, ১৯২৭, জামদহ ডাকবাংলা ৷ জামদহ ডাকবাংলা থেকে বেরিযে, লছমীপুরের পথে কি সুন্দর দৃশ্যটা দেখলাম-চাননের ওপারে পাহাড়ের মাথার ওপর প্রভাতের অরুণ-আভ1, উচুনীচু পাহাডের উপত্যকার মধ্যে মধ্যে ক্ষীণস্রোতা নদী-শালবন, বড় বড় পাথরের টিলা । গভীর উপত্যকব মধ্যে শালবনবেষ্টিত লছমীপুর গড়ে এসে পৌছানো গেল বেলা আটটাতে । দেওয়ান শ্ৰীধরবাবুকে কালিবাডিতে খবর দেওয়া গেল। লছমীপুর প্রাসাদে পৌছে দেওয়ানখানায বসে রইলাম। তার আগেই কালীপদ চক্ৰবৰ্ত্তী গুরুঠাকুরের ওপানে চা খাওয়া গেল। সেখানে খাওয়া-দাওয়া করে দুৰ্গম জঙ্গলেব পথে হরপুর রওনা হলাম । উচ্চ মালভূমির উপর গভীর অরণ্যের ভিতর দিযে পথ । দুধারে খাদির, হরিতকী, বয়েড়া, বঁাশ, আবলুশ, আমলকী, কথবোল, বেলেব জঙ্গল। প্রথম জঙ্গল পার হযে দ্বিতীয় জঙ্গলটা শুধু ঘন আবলুশ ও কেঁদ জঙ্গল । এত বড বন্ড পাথর মে জুতা ছিডে বুঝি পাথর পাযে ফোটে । অস্বিকাবাবু ভারী বিরক্ত হ’ল-এত গভীর বন দিযে কেন আসা ? বনে ভালুক, বাঘ ও হরিণ প্রচুর । জঙ্গল শেষ করে রাঙা মাটির উচু-নীচু পথ। শালেব ও মহুয।ার বন পার হষে হযে অবশেষে জয়পুরের ডাকবাংলায্য পৌছানো গেল। ওঝাজি লছমীপুরের কাছারী থেকে নিষে এসে অহার ও রন্ধনের আয়োজন করলে । বেশ কাটল আ জা সারাদিনটা । বনোযারী বাবুর কথা যেন মনে থাকে বহুদিন । রাণীসাহেবার এক ভাই এলেন। বাবরীচুলের গোছা, শুিপ্রং এবা মত কপালে ও মুখের দুপাশে পড়েছে । পকেটে একটা বািড টর্চ যেন একটা পিতলের বঁাশী, হাতে সোনার হাতঘডি। র” কালো, আবলুশ কাঠ হার মেনেছে । পথে সাহেবের বাংলা থেকে ও বন থেকে অস্বিকাবাবু কি সুন্দর ফুল তুলে নিলে। আমি আমলকী, হরীতকী, বয়েড তুলে পকেট বোঝাই কাবলাম । এতবড় বন আমি এর আগে কখনো দেখিনি। সারাদিন লছমীপুরোয় অ্যামলা দেব উপর অস্বিকাবাবু ও আমি খুব হুকুমটা চালালাম যাহোক । ৷৷ ২৯শে সেপ্টেম্বর, ১৯২৭, জয়পুঙ্ক ডাকবাংলা ৷